ফ্ল্যাপে লিখা কথা
চিনু সাহেবের সবাইকে চেনা চেনা মনে হয়।কাজেই ডাকাতদেরও চেনা মনে হবে স্বাভাবিক।কিন্তু ডাকাত দলের তরুণ প্রদানকে কেন যেন আরও বেশি চেনা মনে হয়।মনে হয় সে ডাকাত নয়, অন্য কিছু।সম্পর্কের অন্য কোনো বাঁধন আছে ওদের মধ্যে।
চিনু সাহেব এবং তার স্ত্রী মায়ার সংসারটা কাটছে এক চিরস্থায়ী দুঃখের কিছু ধাওয়া নিয়ে। তাদের সম্পদ বিস্তর, কিন্তু ভোগ করার কেউ নেই।এই সুযোগটা নিতে চায় এমন কিছু লোক দৃশ্যত যাদের মধ্যে পার্থিব লোভ থাকার কথা নয়।জলিল মাস্টার, রেডিও সেলিম সাহেব কিংবা রমিজ ওস্তাদ, ওরা তো জাগতিক বিষয়ে ভীষণ উদাসীন।হারুন সাহেব বা তার স্ত্রীও সদাব্যস্ত একজন আরেকজনকে নিয়ে।অথচ তারাই…..
এটা তোতনের কাছে এত জটিল একটা বিষয় মনে হয় যে দুই ক্লাসমেট ইমরান আর শেফালিকে নিয়ে সে ত্রিরত্ম নামের একটা গোয়েন্দা দল তৈরী করে ফেলে।ডাকাত দলকে কে বা কারা ইন্ধন দিয়ে চিনু সাহেবেরে সম্পত্তির সন্ধান দিয়েছে সেই তদন্তে নামে ওরা।আর সেই তদন্তই খুলে দেয় সম্পর্ক আর পরিচয়ের অজানা কিছু দরজা।যা চায় তারা পাওয়া যায় তার চেয়েও বেশি।চিনু সাহেবের কেন মনে হয় অর্ধেক চেনা আর বাকি অর্ধেক অচেনা মনে হয় বেরিয়ে যায় সেটাও।
বরাবরের মতো কৌতুভরা দৃষ্টি আর সরস উপস্থাপনায় মোস্তফা মামুন কিশোর মনস্তত্ব দিয়ে তুলে এনেছেন মানুষের সম্পর্ক রহস্যের একটি গল্প।রহস্য আছে, কিন্তু রহস্য গল্প নয়। শেষপর্যন্ত এটা মামুষের গল্প। মজার গল্প।