একাত্তরে রক্তে লাল হয়েছিল যমুনা। তার রঙ দিয়েই যেন পতাকার লালটা জ্বলজ্বল করছিল। পাকিস্তানী হানাদাররা উন্মত্ত হয়ে তছনছ করেছিল যমুনার পূর্ব-পশ্চিম উপকূল। সেই দৃশ্যগুলোকে তুলে ধরে লেখা বইটি জানান দেয় অনেক হারিয়ে আমাদের স্বাধীনতা পাওয়ার দলিল এটি। রক্তে লেখা বইটি বিন্যস্ত করা হয়েছে সত্যাসত্য প্রমাণ নিরিখে। গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় যুক্ত হয়েছে প্রতিটি ঘটনা। আজও যমুনা কূলকূল বয়ে বেড়ায়, মানুষের সুখদুঃখের কাঁদে। কিন্তু সে আসলে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে এক শোকের ইতিহাস। বয়ে নিয়ে যাচ্ছে একাত্তরের গভীর ক্ষতগুলো। যমুনার পারে গুলির শব্দ, বাড়িঘর পোড়ানোর ধোঁয়া কুণ্ডুলি পাঁকাচ্ছে আকাশে, মানুষ পালাচ্ছে, বিদ্রোহী মানুষ ফের উঠে দাঁড়িয়েছে। হানাদার আর রাজাকারদের দৌরাত্ম্য শেষে, অবশেষে বিজয়। এর অর্জনে প্রবাহিত যে অশ্র“ জলধারা, তারই দু-একটি বিন্দু দিয়ে রচিত এ বইটি।