ফ্ল্যাপে লিখা কথা
মানুষই বানিয়েছে নিজের আদলে যন্ত্রের মানুষ। তাতে প্রতিস্থাপন করেছে বুদ্ধি মেধা মনন ও প্রজ্ঞা। সে-ও নিত্যদিনের মতো সময়ের হিসাব কষে কষে গড়ে তোলে একটি জীবনপঞ্জি। এভাবে যন্ত্রের জীবন হয়ে পড়ে সম্ভাবনাময় একজন মানুষের জীবন। একজন রোবট কিংবা কিছু যন্ত্রের সমষ্টি তার নিজের জীবন এবং তার চারপাশের পরিবেশকে কতটা রঙিন বর্ণিল করতে পারে এই উপন্যাস তারই এক চমকপ্রদ দৃষ্টান্ত। মানুষের জীবনযাপন এবং রোবটের জীবনযাপনে আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন-দুঃস্বপ্ন কতটা কীভাবে বৈষয়িক কিংবা বৈষয়িকহীনতায় থাকে-এগুলো কি যন্ত্রের নিয়মে নাকি মানুষের নিয়মে! স্বপ্নময় ও আকাঙ্ক্ষাময় জীবন লাভ করে একজন রোবট ভালোবেসে ফেলে জীবনকে নাকি সে শুধু অন্যের নির্দেশে পরিচালিত হয়! এইভাবে এই উপন্যাস কিংবা সায়েন্স ফিকশনে একটি জীবনকে গ্রাস করে ফেলতে চায় অন্য একটি জীবনের ছোঁয়া! যন্ত্রের জীবনও হয়ে ওঠে মানুষের জীবনের চেয়ে মুখর, অধিক বৈচিত্রময়।
ভূমিকা
রি প্রিওয়াল্র্ডের একজন অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষ। কিন্তু হৃদি তাকে ভালোবাসে। সে হৃদির দৃষ্টিতে সুপারম্যান। মানুষেল বিপদে-আপদে সে এগিয়ে আসে। কিন্তু সিস রি’র উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না। সে তাকে প্রিওয়ার্ল্ড থেকে সরাতে চায়। কিন্তু সমস্যা হলো রি’কে প্রিওয়ার্ল্ডে ঢোকানো হয়নি। তাই তাকে বের করাও যাচ্ছে না। অন্যদিকে রি’কে ধ্বংস করলে প্রিওয়ার্ল্ড ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই সিসি চায় রি যেন স্বেচ্ছায় সেখান থেকে সরে আসে। এ জন্য হৃদির প্রতি সে চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু হৃদি রাজি নয়। সে চায় রি টিকে থাকুক এবং সে তাকে ঘিরে ভালোবাসার জগৎ গড়ুক। এ দ্বন্দ্বে কে জিতবে? প্রচন্ড প্রতাপশালী সিসি নাকি রি! তার সমাধান পাবেন এ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ‘একজন রোবটের কথা’য়।