“প্রাচীন বাংলার ধুলো মাখা পথে” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
পৃথিবীর অধিকাংশ এলাকা যখন তলিয়ে ছিল অজ্ঞানতার আঁধারের গভীরে, তখনও বাংলাদেশে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতাে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছিল নগর-মহানগর। এদেশে যখন বিকশিত হয়েছিল উন্নত সভ্যতা, তখনও সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া গােটা ইউরােপ ছিল সভ্যতা থেকে বহু দূরে। এত সুপ্রাচীন সভ্যতার অধিকারী প্রাচীন বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে আছে অগণন প্রত্ন-নিদর্শন। সেসব নিদর্শন এ দেশের ইতিহাস-সভ্যতার অকাট্য দলিল। এসব দলিলের মাধ্যমে প্রস্তর যুগ থেকে শুরু করে সভ্যতার ধারাবাহিক বিকাশের ইতিহাস জানা গেছে। প্রাচীন বাংলার ধুলাে মাখা পথে-প্রান্তরে বছরের পর বছর ধরে ঘুরে বেড়িয়েছেন গবেষক খন্দকার মাহমুদুল হাসান। আবিষ্কার করেছেন নতুন প্রত্নক্ষেত্র এবং প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ। তিনি নিজে নিদর্শনসমূহ দেখেছেন, সেগুলাের বৈশিষ্ট্য লিপিবদ্ধ করেছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার অধিবাসীদের সাক্ষাতকার নিয়েছেন এবং ছবি তুলেছেন। একই সাথে সুপ্রাচীন কাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত গবেষক-পণ্ডিতদের মূল্যায়নও উপস্থাপন করে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাঁর বহু পরিশ্রম ও গবেষণার ফল এই গ্রন্থ। দুষ্প্রাপ্য, দলিলপ্রমাণ, দুর্লভ ছবি ও বহুমূল্যবান অসংখ্য উদ্ধৃতি এই অমূল্য গ্রন্থের সম্পদ। গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত কোনাে কোনাে অংশ দৈনিক প্রথম আলােসহ জাতীয় পত্রিকা-সাময়িকীতে ছাপা হয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।