“বিপন্ন গণতন্ত্র, লাঞ্ছিত মানবতা” বইটি সম্পর্কে ভেতরের কিছু অংশ:
বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা এক আদর্শবাদী দূরদর্শীসম্পন্ন নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত সরকার পরিচালনা করে তিনি যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সাফল্য এনে দিয়েছেন তাতে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় এক দেশ হিসেবে প্রশংসা অর্জন করে বিশ্বে তার। ভাবমূর্তি আবারও উজ্জ্বল করে তােলে। আপাদমস্তক রাজনীতিমনস্ক ব্যক্তিত্ব শেখ হাসিনা সর্বদাই তাঁর প্রিয় জনগণের প্রতি আত্মনিবেদিত । এই চেতনা তাকে প্রতিমূর্ত করে রাখে জনগণের ভালবাসা ও বিশ্বাসে। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন এই দুটি শর্তই তার রাজনীতির প্রথম ও প্রধান। অঙ্গীকার। ১৯৮১ থেকে ২০০২ পর্যন্ত তিনি এক দুঃসাহসী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে যেমন আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছেন, তেমনি স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতেও এক বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করতে সমর্থ হন। মেধা, শ্রম ও সৃজনশীলতা শেখ হাসিনার চারিত্রিক দৃঢ়তার এক উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য। লেখক হিসেবেও শেখ হাসিনার প্রাণবন্ত উপস্থিতি পাঠক মহলকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে থাকে। দেশ জনগণ সমাজ সম্পর্কে তাঁর চিন্তা-ভাবনা তিনি তার তীক্ষ্ণ লেখনীর মাধ্যমে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। রাজনীতির ব্যস্ততায় তিনি বাঁধা থাকলেও তার প্রিয় পাঠকদের কথাও তিনি মনে। রাখেন। এবারের প্রবন্ধগুলােয় তিনি ১ অক্টোবর ২০০১-এর নির্বাচনে যে ষড়যন্ত্র ও কারচুপি হয়েছে এবং নির্বাচন। পরবর্তী জামাত-বিএনপি জোটের যে সন্ত্রাসী পাশবিকতায় সাধারণ মানুষ অসহায়ভাবে জীবন-যাপন করেছে তা অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরেছেন। বিপন্ন গণতন্ত্র ও লাঞ্ছিত মানবতা, এ অবস্থায় বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাড়াবে-এ মুহূর্তে এটাই আমাদের সকলের ভাবনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গােপালগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৮১ সালে। তাঁকে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ২৫ বছর আগে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। শপথ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকরাজনীতি সংক্রান্ত বই, সাময়িকী ও সাহিত্যের উন্মুখ পাঠক।