“দারিদ্র্য দূরীকরণ: কিছু চিন্তাভাবনা” বইটির ফ্ল্যাপের অংশ থেকে নেয়া:
জননেত্রী শেখ হাসিনার নানা ধরনের চিন্তার ফসল এ-গ্রন্থ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ের অনেক চিন্তা তাঁর মনে উঁকি মারে। জনজীবনে যে অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা তা উদ্বিগ্ন করে তােলে তাকে। নৈতিকতাবােধ লুপ্ত হয়ে গেছে, মূল্যবােধ চলে গেছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ আর লােভ গ্রাস করছে গােটা সমাজকে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা, কর্তব্যবােধ, সহানুভূতি দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে। এমনই পরিস্থিতি যখন সারা দেশে বিরাজ করছে তখনই এক সাগর। ভালবাসা নিয়ে গণমানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা। দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করছে এদেশের অধিকাংশ মানুষ। অভাবের তাড়নায় তারা বিপদগামী হয়ে ওঠে কখনাে কখনাে। কেননা তাদের সামনে কোন কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ থাকেনা। কোন স্বপ্ন থাকে না। যদিও এই সব গণমানুষকে বারবার স্বপ্ন দেখানাে হয়েছে, সােনালী ভবিষ্যতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বারবার তারা আশাহত হয়েছে। তাদের আশাহত বুকে, তাদের ভাঙ্গা মনে নতুন করে আশা। আর প্রাণের সঞ্চার জাগাতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর। রাজনৈতিক সংগ্রামে নিজের জীবন যেমন উৎসর্গীত করেছেন তেমনি অন্তরের তাগিদে কলম হাতে তুলে নিয়েছেন। গ্রন্থভুক্ত লেখাগুলােতে তার সত্যিকারের দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে, মানব প্রেম উঠে এসেছে। তার রাজনৈতিক আদর্শ প্রস্ফুটিত হয়েছে। অসহায়, নিপীড়িত, বঞ্চিত গণমানুষের জন্য তিনি সবকিছু ত্যাগ করে নিরলস প্রচেষ্টায় নিয়ােজিত। এই সব ভাগ্যহত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে, সমাজের অবহেলিত মানুষকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ এবং প্রচেষ্টার প্রয়ােজন তার। বিশদ বর্ণনা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণিত করেছেন তিনি এ-গ্রন্থে। গ্রন্থভূক্ত প্রবন্ধের প্রতি ছত্রে ছত্রে তাঁর দরদি মনের পরিচয় পাওয়া যায়। শেখ হাসিনার সুচিন্তিত ও সুলিখিত প্রবন্ধগুলাে দেশের সুধীমহল। কর্তৃক ইতােপূর্বেই উচ্চ প্রশংসিত। মানুষ ও সমাজের এবং আর্থসামাজিক কাঠামাের উন্নয়নে তার যুক্তি, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং যুগােপযােগী গ্রন্থভূক্ত প্রবন্ধগুলােতে উপস্থাপিত অর্থনৈতিকদর্শন এ দেশে বাস্তবায়িত ও প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ ও দেশের মানুষ সুখ, স্বাচ্ছন্দ আর স্বস্তিতে বাস করতে পারবে এটা বলা যায় নি:সন্দেহে।