মুহম্মদ নূরুল হুদার হাজার কবিতা

৳ 600.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9844015950
ভাষা বাংলা
দেশ বাংলাদেশ

হাজার বছরের বাংলা কবিতার হাজার কবির এক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিন দশকেরও অধিককাল তিনি কর্ষণ করে চলেছেন বাংলা কবিতার এক অকর্ষিতপূর্ব সৃষ্টিভূমি। তাঁর সকল কাব্যপ্রয়াসের কেন্দ্রে রয়েছে ব্যক্তিমানুষ, জাতিমানুষ ও বিশ্বানুষের প্রতি সমীকৃত প্রতীতি। জাতিসত্তার কবিরূপে বহুলনন্দিত এই কবি একই সঙ্গে দৈশিক জাতিসত্তা ও বৈশ্বিক মানব-অস্তিত্বের নান্দনিক ভাষ্যকার । নিরবধি সময়প্রবাহে সন্তরণশীল তিনি এক সময়মানুষ। তাঁর সৃষ্টিসত্তা নানা নিরীক্ষা, প্রকরণ ও উদ্ভাসে নিয়ত নবায়নপ্রবণ। স্বােপার্জিত কাব্যমুদ্রা ও নন্দনলােকের বরপুত্র এই বাঙালি কবি সমকালীন বিশ্বকবিতারও এক তাৎপর্যপূর্ণ কারুকৃৎ। বদলপ্রবণ বিষয় ও বহুস্বর পঙক্তিমালার বর্ণিল প্রতিভাস এই ‘হাজার কবিতা’। সমকালীন কাব্যভােক্তা এই গ্রন্থের চরণে-চরণে সনাক্ত করবেন এক ব্যাকুল কাব্যলােক। এ-ও এক আরশিনগর, যেখানে চিরকালের কাবভােক্তার উদার আমন্ত্রণ।

মুহম্মদ নূরুল হুদা ১৯৪৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোহাম্মদ সেকান্দর ও মাতা আঞ্জুমান আরা বেগম। মূলত কবি তিনি। তবে কথাসাহিত্য, মননশীল প্রবন্ধ ও অনুবাদসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি বিচরণশীল। অতিপ্রজ ও সব্যসাচী এই লেখকের স্বরচিত, অনূদিত ও সম্পাদিত গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক। মুহম্মদ নূরুল হুদার প্রাপ্ত পুরস্কারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), যশোর সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), আবুল হাসান কবিতা পুরস্কার (১৯৮৩), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), কক্সবাজার পদক (১৯৮৯), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯৪), আহসান হাবীব কবিতা পুরস্কার (১৯৯৫), যুক্তরাষ্ট্রের আই.এস.সি ঘোষিত পয়েট অব ইন্টারন্যাশনাল মেরিট ও পয়েট অব দ্য ইয়ার (১৯৯৫), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কর্তৃক প্রদত্ত নজরুল জন্মশতবার্ষিকী সম্মাননা (১৯৯৯), জীবনানন্দ জন্মশতবার্ষিকী সম্মাননা (১৯৯৯), সুকান্ত পুরস্কার (২০০৪), একুশ-উনিশে ভাষা গৌরব শীর্ষক ত্রিপুরা রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সম্মাননা (২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১২) ইত্যাদি। ১৯৯৭ সালে তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি সুলেমান ডেমিরিল কর্তৃক বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হন। ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন। কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপনা দিয়ে। তারপর বাংলা একাডেমিতে চাকরি বদল। এখানেই বিকশিত তাঁর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সময়। তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও জাতীয় পর্যায়ে নজরুল জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব। বাংলা একাডেমির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের লেখকদের সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমান সভাপতি। তিনি আন্তর্জাতিক লেখক দিবসের প্রবক্তা। সাহিত্য-সাধনার পাশাপাশি সাহিত্য-সংগঠক হিসেবেও তিনি সর্বমহলে সমাদৃত।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ