“কবিতাসমগ্র-১” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
তাঁকে পাঠ মানে সঙ্গে নদী নিয়ে চলা বেগবান ও শস্যময়। তাঁর বলার ভঙ্গিটি শূন্যকে হৃদয় থেকে মস্তিষ্কে বিস্তৃত করে। বাংলা কবিতার সময়-বাঁশি ওষ্ঠ ও আঙুলের স্পর্শে পথ-জনপথে মন্ত্র বেজে চলে। সূর্য ও স্বর্ণ, কার্তিক ও ক্রোধ, জট ও জনির মধ্যে চলতে থাকে অনন্ত-খেলা। বৃক্ষবােধের মণ্ডমেধায় তিনি নির্মাণ করেন খাদ্যপ্রণালী; শ্রমের প্রান্ত থেকে টেনে তােলেন যুক্তিযিশু; শ্লেষের জননীতি দুলে ওঠে মধ্যরাতে। ‘হাওয়া কলে জোড়া গাড়ি’, ‘সিংহদরজা’, ‘কাদামাখা পা’ যেন হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কবিতার চিহ্নিত সুঁইগুচ্ছ। অপর দিকে কী ‘মুখােমুখি’, কী ‘একা ও করুণা’- দুই পাল্লার কাচ; ফর্সা ও ঘােলা। তাঁত ও তঁতের ভেতর যে আয়ু সিরাজী খোঁজেন, তার মায়া সংসারতুচ্ছে দৌড়ঝাপ দেয়; কৃষ্ণ কৃপাণে আস্থাবান হয়। চক্ষু ও বৃত্ত হাবীবুল্লাহ সিরাজীর রন্ধন বৃত্তান্তে পূর্ণ পৃষ্ঠা জুড়ে পাচকরস সংগ্রহে নিবিষ্ট থাকে। তাঁর কবিতার শাস পাকস্থলী পর্যন্ত পৌছানাে এক দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা।