“মিস্টার ৪২০” বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
সব কিছু কেমন যেন পাল্টে যায় অর্ণকের, হঠাৎই । অবশ্য এই পাল্টে যাওয়াটা এমনি এমনি হয় না, একটা কারণও আছে এর, খুবই সাধারণ। কারণ । কিন্ত তার কাছে সেটাই অসাধারণ। প্রতিবেশী যে ভদ্রলােককে অর্ণক ভাই বলে ডাকত, তাকে সে এখন আঙ্কেল বলে ডাকে; ভার্সিটি থেকে ফির যে বিল্ডিংয়ের সামনে সে এক মুহূর্তের জন্য দাঁড়াত না, সেখানে সে এখন পায়চারি করে; আগে যে চুলগুলাে উস্কোখুস্কো করে রাখত, সেটা এখন ভদ্রগােছের করে কাটে। আরাে কত কী! কিছুদিন পর অর্ণক খেয়াল করে—না, সে কেবল নিজেই পাল্টে যায়নি, বড় ভাইয়ের মতাে তার রুমমেট কিছলু ভাইও পাল্টে গেছেন, পাল্টে গেছে। বাড়িওয়ালার মেয়ে শিমুও। এবং সত্যি কথাটা হচ্ছে—এই পাল্টে যাওয়া, এই বদলে যাওয়া, সব কিছুই কেমন যেন মজার । হ্যা, মজার, আনন্দের এবং উচ্ছলতার ।। অর্ণকের সেই অসাধারণ কারণকে নিয়েই এতসব মজার কাণ্ড? না, আরাে অন্য কোনাে কারণ আছে? যাই হােক, অদ্ভুত সব মজার কাণ্ড নিয়েই মিস্টার ৪২০। আশ্চর্যের ব্যাপার হলাে—যার জন্য অর্ণকের এই পাল্টে যাওয়া সেই তাকে নাম দিয়েছে—৪২০, মিস্টার ৪২০!