একাত্তরের যুদ্ধশিশু

৳ 300.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9847011400785
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২৬৪
সংস্কার 1st Published, 2009
দেশ বাংলাদেশ

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
বিদ্রোহী বাঙালী জাতিসত্তা ধ্বংস করে ‘অনুগত পাকি-বাঙালী’ শঙ্কর জাতিধারা প্রবর্তনের লক্ষ্যে বর্বর ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে পরিচালিত হয়েছিল পরিকল্পিত গণধর্ষণ! পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী জামাত-রাজাকার গোষ্ঠী কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছিল দুই থেকে চার লক্ষ নারী। বঙ্গবন্ধু তাদেরকো ‘বীরাঙ্গনা’ বলেছেন; ধানমন্ডির নিজ বাড়ির ‘ঠিকানা’ দিয়েছিলেন সবাইকে। বীরাঙ্গনাদের গর্ভে জন্ম নিয়েছিল প্রায় ২৫ হাজার যুদ্ধশিশু! কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে দত্তকায়ন করা হয় সেসব যুদ্ধশিশুকে। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে সেসব পবিত্র যুদ্ধশিশুরা আমাদের জাতীয় গাথায় বিস্মৃত। সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত জেনোসাইড বা জাতিসত্তা, ধ্বংসের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে ‘পরিকল্পিত গণধর্ষণ।’ ধর্ষণ ও একটি যুদ্ধাস্ত্র! যুদ্ধক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে নারীর শরীর পর্যন্ত! সারাবিশ্বের বেঁচে থাকা যুদ্ধশিশুর সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ! বিষয়টি নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেকেই গবেষণারত। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা সাজিদ হোসেনের কয়েক বছরের নিরলস গবেষণা এবং তথ্যানুসন্ধানের ফসল এই গ্রন্থ ‘একাত্তরের যুদ্ধশিশু।’ এখানে বর্ণিত হয়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বের যুদ্ধশিশুদের জন্ম, অবস্থান, দত্তকায়ন, সামাজিক সঙ্কট এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-ভাবনা বিষয়ক হৃদয়স্পর্শী সত্যকথন।

অধ্যায়-১
*বাংলাদেশে কেন যুদ্ধশিশুর জন্ম!
অধ্যায়-২
*বাংলাদেশের যুদ্ধশিশু!
অধ্যায়-৩
*বাংলাদেশে বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশু বিষয়ক পদক্ষেপ
অধ্যায়-৪
*নারীর শরীরও যুদ্ধক্ষেত্র!
অধ্যায়-৫
*বিশ্বের যুদ্ধশিশু
অধ্যায়-৬
*যুদ্ধশিশুর অধিকার, সংশ্লিষ্ট যুদ্ধাপরাধ এবং বিচার
অধ্যায়-৭
*উপসংহার

মুক্তিযুদ্ধকালে এগারাে বছরের কিশাের সাজিদ হােসেন তার মুক্তিযােদ্ধা পিতার [অ্যাড, আমজাদ হােসেন] সঙ্গে মুক্তিযােদ্ধা হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় চলে যান নওগাঁর সীমান্তবর্তী মধুপুর মুক্তিযােদ্ধা ক্যাম্পে তিনজন কিশােরের সঙ্গে গেরিলা গ্রুপের অস্ত্রসস্ত্রের প্রস্তুতি ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং বার্তাবাহকের কাজে নিয়ােজিত ছিলেন। ক্যাম্পের। স্মৃতি নিয়ে ২০০০ সালে প্রকাশ করেছেন একাত্তরের প্রমিথিউস। কিন্তু এজন্য তাকে তার মেরিন একাডেমীর প্রধান প্রকৌশলী পদ থেকে ২০০৩ সালে সাময়িক বরখাস্ত হাইকোর্টের মাধ্যমে স্থগিত] এবং ২০০৫ সালে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। পেশায় নৌপ্রকৌশলী (সমুদ্রগামী জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী]। সমুদ্রজীবনে [১৯৮০-১৯৯৩] ভ্রমণ করেছেন ৬০টি দেশ । অধ্যয়ন করেছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ, মেরিন একাডেমী (চট্টগ্রাম), সাউথ টাইনসাইড কলেজ (যুক্তরাজ্য) এবং ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনির্ভাসিটিতে (সুইডেন)। জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানইজেশনের ‘মেরিটাইম বিশেষজ্ঞ, বৃটিশ ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিলের ‘চার্টার্ড মেরিন। টেকনােলজিস্ট এবং ইন্সটিটিউট অব মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইন্স অ্যান্ড টেকনােলজির লিন্ডন] ‘ফেলাে। বর্তমানে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়ােজিত আছেন। তার প্রকাশনায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, সমুদ্র-চলাচল, কল্প-বিজ্ঞান এবং তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কিত ৮টি গ্রন্থ, ১৬টি গবেষণাপত্র এবং প্রায় ২০০টি নিবন্ধ ।।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ