ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
বিদ্রোহী বাঙালী জাতিসত্তা ধ্বংস করে ‘অনুগত পাকি-বাঙালী’ শঙ্কর জাতিধারা প্রবর্তনের লক্ষ্যে বর্বর ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে পরিচালিত হয়েছিল পরিকল্পিত গণধর্ষণ! পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী জামাত-রাজাকার গোষ্ঠী কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছিল দুই থেকে চার লক্ষ নারী। বঙ্গবন্ধু তাদেরকো ‘বীরাঙ্গনা’ বলেছেন; ধানমন্ডির নিজ বাড়ির ‘ঠিকানা’ দিয়েছিলেন সবাইকে। বীরাঙ্গনাদের গর্ভে জন্ম নিয়েছিল প্রায় ২৫ হাজার যুদ্ধশিশু! কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে দত্তকায়ন করা হয় সেসব যুদ্ধশিশুকে। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে সেসব পবিত্র যুদ্ধশিশুরা আমাদের জাতীয় গাথায় বিস্মৃত। সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত জেনোসাইড বা জাতিসত্তা, ধ্বংসের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে ‘পরিকল্পিত গণধর্ষণ।’ ধর্ষণ ও একটি যুদ্ধাস্ত্র! যুদ্ধক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে নারীর শরীর পর্যন্ত! সারাবিশ্বের বেঁচে থাকা যুদ্ধশিশুর সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ! বিষয়টি নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেকেই গবেষণারত। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা সাজিদ হোসেনের কয়েক বছরের নিরলস গবেষণা এবং তথ্যানুসন্ধানের ফসল এই গ্রন্থ ‘একাত্তরের যুদ্ধশিশু।’ এখানে বর্ণিত হয়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বের যুদ্ধশিশুদের জন্ম, অবস্থান, দত্তকায়ন, সামাজিক সঙ্কট এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-ভাবনা বিষয়ক হৃদয়স্পর্শী সত্যকথন।
অধ্যায়-১
*বাংলাদেশে কেন যুদ্ধশিশুর জন্ম!
অধ্যায়-২
*বাংলাদেশের যুদ্ধশিশু!
অধ্যায়-৩
*বাংলাদেশে বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশু বিষয়ক পদক্ষেপ
অধ্যায়-৪
*নারীর শরীরও যুদ্ধক্ষেত্র!
অধ্যায়-৫
*বিশ্বের যুদ্ধশিশু
অধ্যায়-৬
*যুদ্ধশিশুর অধিকার, সংশ্লিষ্ট যুদ্ধাপরাধ এবং বিচার
অধ্যায়-৭
*উপসংহার