ফ্ল্যাপে লিখা কথা
পৃথিবীর প্রতি তিনজনের একজনের জন্য বাইবেল হচ্ছে তার আধ্যাত্নিক জীবনের পদ-প্রদর্শক আর এই বাইবেল পৃথিবীর বৃহত্তম সুসংগঠিত ধর্ম, ক্রিশ্চিয়ানিটির একবারে মর্মস্থলে অবস্থিত একটি অসামান্য গল্প। দু’হাজারের বেশি ভাষায় অনূদিত বাইবেল পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা অধিক বিক্রিত বই, যা গত দুশো বছরে অন্তত : ছয়শ কোটি কপি যা পৃথিবীময় ছড়িয়ে গেছে। কেবলমাত্র ২০০৫ সালেই আমেরিকাতে কমপক্ষে আড়া্ই কোটি বাইবেল বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বাইবেল একটি জটিল একটি গ্রন্থ এবং এর ইতিহাসও অত্যন্ত জটিল এবং অস্পষ্ট। শতাব্দীর পর শতাব্দী , এই বই-এর বিষয়বস্তু বদলেছে, এটা্ বিভিন্ন অনুবাদ ও ব্যাখ্যার মধ্যে দিয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের কাছে এই বই নানারকম অর্থ বহন করেছে।
এই বইটিতে ক্যারেন আর্মস্ট্রং , একজন স্বীকৃত ঐতিহাসিক, ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী বইটির সম্বন্ধে প্রারম্ভিক ধারণা, উদ্ভব, তার জীবন এবং পরবর্তী ইতিহাস আলোচনা করেছেন। যে সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমিকায় মৌখিক ইতিহাস লিখিত শাস্ত্রে পরিণত হয়েছে। আর্মস্ট্রং তা বিশ্লেষণ করেছেন এবং কেমন করে এই সর্বব্যাপী শাত্র একটি গ্রন্থ সংগৃহীত হয়েছে, কেমনভাবে একটা ক্রিশ্চিয়ানিটির পবিত্র রচনা হিসেবে গৃহীত হয়েছে এবং এর ব্যাখ্যা কীভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে সে সবও তিনি বিশ্লেষণ করেছেন। যে সময়ে মানুষের বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এবং মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, সেই কালের পরিপ্রেক্ষিতে আর্মস্ট্রং এর বাইবেলের ইতিহাস একটি অনবদ্য, মন-কাড়া বই, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
সূচিপত্র
* প্রথম পরিচ্ছেদ : তোরা
* দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : ধর্মশাস্ত্র
* তৃতীয় পরিচ্ছেদ : গস্পেল
* চতুর্থ পরিচ্ছেদ : ব্যাখ্যা
* পঞ্চম পরিচ্ছেদ : চ্যারিটি
* ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ : লেকটিও ডিভাইনা-(পবিত্র অধ্যয়ন)
* সপ্তম পরিচ্ছেদ : সোলা স্ক্রিপচুরা
* অষ্টম পরিচ্ছেদ : আধুনিকতা
* উপসংহার