ফ্ল্যাপে লিখা কথা
ইসতামবুলে-অনেকেই ইস্তাম্বুল লেখেন, হয়তো সেটাই সার্বিক বানান, কিন্তু ইচ্ছে করেই অপ্রচলিত বানান ব্যবহার করেছেন লেখক উচ্চরণের সঙ্গে মিল রেখে। ইসতামবুল পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীনতম নগরী যার ভূগর্ভের পরতে পরতে রয়েছে একাধিক সভ্যতার প্রত্নতাত্তিবক নিদর্শন, প্যাগান, রোমান, খ্রিস্টান,মলমূক, অটোম্যান, ইত্যাদি। এত অসংখ্য প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন ভগ্নপ্রায়,অর্দভগ্ন এবং প্রায় সম্পূর্ণ খুব কম নগরীতেই দেখা যায়। এক ভ্রমণের ইসতামবুলের সব কিছু দেখে শেষ করা যায় না।
লেখক ইসতামুলে গিয়েছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেখতে, যদিও সে তার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার অংশ হয়ে গিয়েছে। তিনি ইসতামবুলে এবং পরে কোনইয়া শহরে গিয়েছিলেন সুফি কবি মেভলানা জালালউদ্দিন রুমীর অনুসারী ঘুরন্ত দরবেশদের (হুইলিং ডার্ভেস) নাচ গান করে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করবার এবং নিবেদনের প্রার্থনাভবন (সেমা) দেখতে। কামাল আততুর্ক ক্ষমতায় এসে ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্কে মেভলানা রুমীর বিশেষ উপসানালয়ে দরবেশদের প্রচন্ড বেগে ঘুরে ঘুরে নাচ-গান বন্ধ করে দেন। এখন এই সব উপসানালয় (সেমা) সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। ইসতামবুলে এমন সেমা দুইটি আছে যার মধ্যে একটি বেশ কষ্ট করে খুঁজে বের করেন লেখক।তাঁর এই ভ্রমণকাহিনী একই সঙ্গে একটি দেশের ভূগোল, ইতিহাস, রাস্তায় দেখা নর-নারী , দর্শনীয় কিছু স্থানের বর্ণনার সংঙ্গে আধ্যাত্নিক জগতের অনুসন্ধানও বটে।
সূচিপত্র
* এক- ইস্তাম্বুলের পথে
* দুই- ইতিহাস
* তিন- ইস্তাম্বুলে এরাইভাল
* চার- গ্র্যান্ড হোটেল
* পাঁচ- বিকেলের ইস্তাম্বুল
* ছয়- আবৃত বাজার
* সাত- ইস্তাম্বুলের সকাল
* আট- হিপ্পোড্রোম
* নয়- তোপকাপি
* দশ- সুলাইমানিয়া থেকে মিশর বাজার
* এগার- গালাতা মেভলভি হানেসি
* বার- বসফরাসে সন্ধ্যা