“বহিরাগত” বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
স্বপ্ন-দেখানাে কাহিনী… পাঠককে পড়তে বাধ্য করে। উপন্যাসের নায়ক মেরসল ভান করা অপছন্দ করে। ফলে মায়ের মৃত্যুতে তার মুখে বিষাদের ছায়া না পড়া, মানুষের ভালাে লাগে নি। এবং সে যখন আলজিয়ার্স-এ বেপরােয়া হিংসা অবলম্বন করে সমাজ তাতে বিভ্রত হয়। আইনানুগ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত অবিবাহিত যুবক মেরুসল এমন নৃশংস হত্যা করল কি করে… পরে তার এতটুকু অনুশােচনাও হল না!
অপরের ভাবাবেগের মর্যাদা দানে অপারগতা আইনের চোখে তার। অপরাধের গভীরতা বৃদ্ধি করে। অবশ্য, একথা বুঝতে তার দেরী হয় না যে বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে কৃত অপরাধের চেয়ে বরং তার ভাবাবেগের অপ্রতুলতার দরুন- সে বহিরাগত’ বলেই ঐ ভাবাবেগের দণ্ডনীয় অভাব।
রৌদ্রতপ্ত সমুদ্র উপকূলের বালু,শংস হত্যাকাণ্ড… এ শতকের এক ধ্রুপদী উপন্যাস।
দ্য গার্ডিয়ান