ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
সেটা ছিল ১৯৭১ সাল। ঢাকা শহরের আজিমপুর কলোনির ফ্ল্যাটে থাকতো চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রঙ্গন, তার আম্মু আব্বুজি ও বড় আপাকে নিয়ে। হঠাৎ মাঝরাতে তাদের বাসায় আক্রমন করে পাক-হানাদার বাহিনী। রাজাকার বাহিনী খুন করে ফেলে তাদের বাড়ির সবাইকে। ঘটনাক্রমে বেঁচে যায় রঙ্গন। পাহারাদারের হাত ধরে ঢাকা শহর ছেড়ে পালিয়ে আসে গ্রামে, তার মামার বাড়িতে। সেখানে সে টুনটুনি, ঝুমঝুমি আর সাজুকে নিয়ে, পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধ। এরা তার মামাতো ভাই ও বোনেরা। যুদ্ধ-জয়ে তাদের সাহায্য করে ‘বটেশ্বরী’ নামের একটি বৃক্ষ। সেই বিশাল বটবৃক্ষের কোটরে বাস করে ‘জল-কলকল’, ‘কোতলী-বুড়ো,’ ‘চন্দ্রভানু’ আর ‘ফুলকি’ নামের চমৎকার একটা পরী। আরো কত কি“ তারা সবাই মিলে রঙ্গনকে সাহায্য করে। সবাই মিলে তারা যুদ্ধ করে। এবং জয়ী হয়। কিন্তু তারপরে?
কি হয়েছিলো বটেশ্বরীর?