“স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র” বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে:
আমি মনে করি, আমরা যারা আদৌ ঐতিহাসিক নই, বরং ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বা সংগঠক, আমাদের বর্ণনাকে সততা ও সাহসিকতাপূর্ণ দলিল হিসেবে গবেষকদের জন্যে সংরক্ষণের মানসে, আমাদের পরিবেশনা স্বয়ং প্রত্যক্ষকৃত বিষয়ের মধ্যে সীমিত থাকা সুকর্তব্য। এই বিবেচনায়, বর্তমান সংস্করণে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার সম্পৃক্ত বিষয়ে সহকর্মী আশফাকুর রহমান খানের বর্ণনাটি পরিবর্জিত হলাে। একইভাবে চট্টগ্রাম বেতারের সমকালীন পরিস্থিতি সম্পর্কে এবং ১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে গণউত্তেজনা ও তার নিরসনের জন্যে বঙ্গবন্ধুর বেতার ভাষণ প্রসঙ্গে সহকর্মী আবদুল হালিম সরদারের বর্ণনাসমূহও পরিবর্জিত হলাে। তবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী সম্পৃক্ত একটি বিষয়— পটিয়া থেকে রামগড় সীমান্তে ১ কিলােওয়াট ট্রান্সমিটারটি স্থানান্তর সম্পর্কে দশজন প্রতিষ্ঠাতা কর্মীর অন্যতম রাশেদুল হােসেন ও আমিনুর রহমানের বর্ণনা সংগত কারণেই সংযােজিত রাখা হয়েছে। এছাড়া অপর একটি তথ্য-অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-কর্মী শারফুজ্জামানের ২৪ মে আগরতলা থেকে প্রচার-সম্ভারসহ যাত্রা করে ২৫ মে ১৯৭১-এ কলকাতায় উপনীত হবার বিবরণ নতুন সংযােজিত হলাে। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের দশজনের খণ্ডস্মৃতিই তাে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা এবং সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তথ্য-বিবরণী ।