ডানপিটে ডাবলু

৳ 110.00

লেখক
প্রকাশক
ভাষা বাংলা
দেশ বাংলাদেশ

“ডানপিটে ডাবলু” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
মায়ের মৃত্যুর তিন মাস পর ডাবলুর বাবা একদিন মাঝরাতে ওকে ডেকে তুলে বললেন, এটা হচ্ছে। তাের নতুন মা।। সামনে দাঁড়ানাে মেয়েটাকে দেখে মাথাটা নিচু করে ফেলে ডাবলু, ভীষণ কষ্ট পায় সে। ভীষণ সমস্যাও। তার চেয়েও বড় একটা সমস্যা হচ্ছে-স্কুলে নতুন আর একটা স্যার আসছেন। স্যারটা আসছেন তাদের দুষ্টুমি বন্ধ করার জন্য, সবধরনের আনন্দ বন্ধ করার জন্য। চিন্তায় ওরা অস্থির হয়ে যায়। যদিও এর আগে এরকম তিনটা স্যার এসেছিলেন। স্কুলে। তাদেরকে বিভিন্ন অদ্ভুত উপায়ে তাড়ানাে। হয়েছিল স্কুল থেকে। চিন্তা হচ্ছে-নতুন যে স্যারটা আসছেন, তাকে কীভাবে তাড়ানাে হবে। ডাবলদের ক্লাস সিক্সে এরই মধ্যে নতুন একটা ছাত্র এসে ভর্তি হয়, সে আবার পাঁচ ফুটের চেয়ে বেশি লম্বা, বয়সও ওদের চেয়ে বেশি। অদ্ভুত সেই ছেলেটার নাম সম্রাট। কথা বলার সময় মুখ। দিয়ে লালা পড়ে তার, কথাও বলে বাচ্চাদের মতাে। কিন্তু সে আসার পর অনেক কিছু বদলে যায় স্কুলে। দিলু নামে যে মাস্তান ছেলেটা আছে। তাকে একদিন প্যাদানি দেয় সম্রাট, ডাবলুরাও অনেক কিছু করতে পারে না ওর জন্য। অথচ ডাবলুদের সঙ্গে সম্রাটের খুব ভাল সম্পর্ক। কিছুই বুঝতে পারে না ডাবলুরা। সব কিছু কেমন। যেন হয়ে যায়। কিন্তু ওরা জানে না—শেষ পর্যন্ত ওদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। অবাক করা। কিছু, অদ্ভুত রকমের কিছু!

বর্তমান সময়ের তরুণ বাংলাদেশী লেখকদের তালিকা তৈরি করতে গেলে অনায়েসেই প্রথম সারিতে জায়গা করে নেবেন কথাসাহিত্যিক সুমন্ত আসলাম। তাঁর জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলায়, মা রওশনারা পারুল ও বাবা মরহুম সোহরাব আলী তালুকদার। স্ত্রী ফারজানা ঊর্মি আর মেয়ে সুমর্মীকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এই লেখকের সংসার। সিরাজগঞ্জে বাড়ির পারিবারিক লাইব্রেরিতেই বই পড়ার হাতেখড়ি তার। সেই সূত্রে ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলেও লেখালেখির শুরু ঢাকায় আসার পরে। ছোটগল্পের বই ‘স্বপ্নবেড়ি’ তাঁর প্রকাশিত প্রথম বই, যা প্রকাশনায় ছিল ‘সময় প্রকাশন’। লেখালেখির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি কাজ করছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করে তুলতে, চাইল্ড ড্রিম সোসাইটি নামের একটি সংগঠনে। এছাড়াও জড়িয়ে আছেন সাংবাদিকতা পেশার সাথে। পাঠক জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিবেচনা করতে গেলে সুমন্ত আসলামের সেরা বই হিসেবে নাম উঠে আসবে ‘হয়তো কেউ এসেছিল’, ‘জানি না কখন’ বা ‘কে তুমি’ অথবা ‘যদি কখনো’ এর মতো জনপ্রিয় সব বই এর নাম । এছাড়াও ‘নীল এই যে আমি!’, ‘আমি আছি কাছাকাছি’, ‘অ্যালিয়ান’, ‘জানালার ওপাশে’, ‘রোল নাম্বার শূন্য’, ‘বীভৎস’, ‘কেউ একজন আসবে বলে’, ‘জিনিয়াস জিনিয়ান’, ‘কোনো কোনো একলা রাত এমন’, ‘তবুও তোমায় আমি’, ‘অনুভব’, ‘মিস্টার ৪২০’, ‘স্পর্শের বাইরে’, ‘ভালো থেকো ভালোবেসে’, ‘ডাঁটি ভাঙা চশমা রাফিদ’, ‘অযান্ত্রিক’, ‘জ্যোৎস্না নিমন্ত্রণ’, ‘প্রিয়ব্রতর ব্যক্তিগত পাপ’, ‘জ্যোৎস্না বিলাস’, ‘মহাকিপ্পন’, ‘তপুর চালাকি’, ‘আশ্চর্য তুমিও!’, ‘হাফ সার্কেল’, ‘কঞ্জুস’, ‘মাঝরাতে সে যখন একা’, ‘আই এম গুড ডু’, ‘আই সে দ্য সান’, ‘তুমি ছুঁয়ে যাও বৃষ্টি তবু’সহ আরো অনেক বই রয়েছে লেখক সুমন্ত আসলাম এর বই সমগ্র এর তালিকায়। এছাড়াও সিরিজ আকারে লিখেছেন ‘বাউন্ডুলে’ ও ‘পাঁচ গোয়েন্দা’র মতো জনপ্রিয় কিছু বই। বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে, এমনকি একুশে বই মেলাতেও সুমন্ত আসলাম এর বই সমূহ এর ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। ভাষাগত সারল্য ও সাবলীলতা তাঁর জনপ্রিয়তার অন্যতম বড় কারণ। মানুষকে কেন্দ্র করে তাকে আবর্তিত করে যা যা আছে তা-ই মূলত তার লেখার বিষয়বস্তু।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ