“শিশুর খাওয়া দাওয়া” বইটির নিবেদক নামক অংশ থেকে নেয়াঃ
শিশু পরিচর্যায় দুটো অংশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি হচ্ছে শিশুকে সঠিক খাবারটি সঠিক নিয়মে খাওয়ানাে বা খেতে দেয়া আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে শিশুকে সময়মততা ও নিয়মিত টিকাদান। শিশুর কোন বয়সে কোন খাবারটি সঠিক তা জানা ও শিশুর জন্য শ্রেষ্ঠ খাদ্য নির্বাচন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাছাড়া শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির সাথে সংগতি রেখে জোগানাে চাই প্রয়ােজনীয় ক্যালরি ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার। সার্বিক অর্থেই শিশুর খাবার সুষম হওয়া উচিত। প্রতিদিনের খাবারে প্রতিটি পুষ্টি উপাদান, খাদ্যপ্রাণ ও খনিজ পদার্থ পরিমাণমতাে থাকা বাঞ্ছনীয়। আমিষ বা প্রােটিন, স্নেই ও শর্করা জাতীয় খাবার নির্দিষ্ট অনুপাতে খাদ্য তালিকায় বজায় থাকা উচিত। এক্ষেত্রে একটি পরিমাণে বেশি দিয়ে অন্যটির ঘাটতি মেটানাে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। বরং তা শিশুকে অপুষ্ট করে তােলে। স্বাভাবিক খাদ্য তালিকা পরিবেশনের সাথে সাথে শিশুকে খাওয়ানাের নিয়মে থাকা চাই যৌক্তিক এ্যাপ্রােচ। এক এক শিশুর ক্ষিদে পাওয়াটা সম্পূর্ণ তার নিজস্ব। এক এক বয়সে শিশুর ক্ষিদে ওঠানামা করে। এসব গ্রাহ্য করেই শিশুকে খাওয়াতে হয়। শিশু যাতে যখন-তখন কুখাদ্য খেয়ে না বসে সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। শিশুর খাওয়া-দাওয়া নিয়ে মা, বাবা ও অভিভাবকের প্রচুর দুশ্চিন্তা থাকে। শিশুর খাবার ও শিশুকে খাওয়ানাের বিষয়টি অভিভাবকজনের কাছে যাতে সম্যক ধারণা গড়ে তােলে, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে গ্রন্থটি লেখা হয়েছে। এ বইয়ের অনেক লেখা দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ভােরের কাগজ, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বকোণ, সাপ্তাহিক চলতিপত্রে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছিল।