“রাশিয়ার রূপকথা” বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া:
প্রাচীন রুশিদের মধ্যে এক ধরনের মহাকাব্যের প্রচলন ছিল যার নাম বিলিনা। ধীর গতির ছন্দে এগুলাে রচিত। রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের লােকেরা এগুলাে গেয়ে বেড়াত । বিলিনায় আছে রুশি সেইসব বীরদের কথা যারা তাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করছে নিঃস্বার্থভাবে। এইসব বিলিনাতেও পাওয়া গেছে অনেক রূপকথার গল্প।
আধুনিককালে রূপকথা পড়তে ছােটরাই ভালােবাসে। তবে এর গভীর গভীরতর মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারেন বড়রাই। সেজন্যে রূপকথা ছােটদের-বড়দের সকলের। রূপকথার প্রধান ঐশ্বর্য ভাষার কমনীয়তা, নায়কের মহত্ত্ব ও মােহনীয়তা। রূপকথা মানুষের মনকে উদ্বুদ্ধ করে সুন্দর হতে। সাধারণ মানুষকে নিজেদের শক্তিতে আস্থাশীল হতে শেখায়। স্বপ্ন দেখায় উন্নত ভবিষ্যতের। মন্দের ওপর ভালাের জয় অবশ্যম্ভাবী— এ প্রত্যয় গড়ে তােলে সাধারণ মানুষের মনে।