“শ্রেষ্ঠ গল্প” বইটি সম্পর্কে কিছু কথাঃ
দেশের সঙ্কীর্ণ পরিবেশ, নিজের চারপাশে ধর্মীয় গোঁড়ামির আবহাওয়ার একটি নিরানন্দ রক্ষণশীলতার চাপ তাঁকে চঞ্চল, ক্ষুব্ধ ও বিদ্রোহী করে তোেল। তা ছাড়া ইবসেনের নাটকের ওপর লেখা তার একটা প্রবন্ধ পত্রিকা থেকে প্রত্যাখ্যাত হলে তিনি তাঁর নিজস্ব সাহিত্যিক মতবিশ্বাসে স্থির থাকার জন্য, জনগণের মেজাজ বুঝে জনপ্রিয় সাহিত্য তৈরির প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকার জন্য অনুভব করলেন এবার তাঁকে বাইরে কোথাও চলে যেতে হবে। ডাবলিনের সমগ্র জীবনপ্রবাহ ও গতিপ্রকৃতির উপলব্ধিও তাঁকে এই সিদ্ধান্তে আসতে প্ররােচিত করে। ১৯০২ সালে অর্থাৎ স্নাতক ডিগ্রি লাভের পরই তিনি ডাবলিন ছেড়ে চলে গেলেন প্যারিসে ডাক্তারি পড়ার জন্যে। কিন্তু ডাক্তারির পড়াশােনায় উৎসাহ বােধ না করায় পুস্তক সমালােচনা লিখতে শুরু করলেন ডাবলিনের এক কাগজের জন্য। ১৯০৩-এ মায়ের মারাত্মক অসুখের খবর পেয়ে ফিরে এলেন ডাবলিনে। এর মধ্যে তিনি লিখে চলেছেন ডাবলিনার্সের গল্পগুলাে এবং এ পােট্রেট অব দ্য আর্টিস্ট অ্যাজ এ ইয়ংম্যান’-এর খসড়া কাজ। এখানেই তাঁর পরিচয় হয় দীর্ঘাঙ্গী, কোমল, হাস্যময়ী, কিন্তু প্রায় বিদ্যাহীনা এবং সাহিত্য ব্যাপারে একেবারেই অনুৎসুক গলওয়ের এক এ্যাপিফ্যানি প্রভৃতির বিপুল ব্যবহার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা লক্ষ্য করা যায় এই বইয়ে।