”বিদেশির চোখে ১৯৭১” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
১৯৭১-এর নিক্সন প্রশাসন যখন স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরুদ্ধে, আমেরিকার জনগণ ও গণমাধ্যম তো পক্ষে। শুরুতেই বাল্টিমোর সান লিখল, পাকিস্তানের স্রষ্ট্রারা যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে দেশ ও স্বপ্নে সমাপ্তি ঘটেছে।
ঢাকা থেকে আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড একাত্তরের মার্চেই যে ‘ব্লাড রিপোর্ট’ পাঠিয়েছেন তার সারকথা : পূর্ব পাকিস্তান এখন ভেঙ্গে টুকরো হয়ে গেছে।’ ব্রিটেনের নিউ স্টেসসম্যান বলল : স্বাধীনতার মূল্য যদি হয় রক্ত বাঙালির অনেক বেশি মূল্য দিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে আছে আঁদ্রে মালরো, ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো, এ্যালেন গিঞ্জর্বাগ, জর্জ হ্যারিসন; গোলাবারুদ বোঝাই জাহাজ-বন্দর ভিড়তে না দেবার মারমুখী উদ্যেগ নিয়ে জেল খেটেছে অজানা ছয় বিদেশি তরুণ।
শরণার্থী সমস্যা, মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্রসংকট, পাকিস্তানি কারাগার থেকে শেখ মুজিবের মুক্তির দাবি, ঢাকায় পতন স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় প্রতিটি অধ্যায় বাংলাদেশ পেয়েছে বিশ্ববিবেকের সমর্থন। সেই সব সাক্ষ্যই দলিলীকৃত ‘বিদেশির চোখে ১৯৭১’ এ। এই গ্রন্থটিকে এড়াবার সুযোগ নেই।