ফ্ল্যাপে লিখা কথা
মাহিনের মাথায় এমন চিন্তা চলছে আজ রাতে ভাল করে জেল খানার মেপটা একটু স্টাডি করতে হবে। সে অবশ্য আরেকটা দরকারি বই জোগার করেছে। ‘নকশা’র খুটিনাটি’ নামে একটা বই। যেটা তাকে ম্যাপটা বুঝতে সাহায্য করছে, অন্তত মাহিনের তাই ধারনা। তবে তাকে ম্যাপটা আরো খেয়াল করে দেখতে হবে …. আরো কোন ফাক ফোকড় আছে কিনা। জয়নাল কথাটা খারাপ বলেনি। গন্ধের চোটে যদি ঢুকতেই না পারে। মাস্ক কী গন্ধ ঠেকাতে পারবে? অবশ্য মাস্কটা এখনো জোগার হয় নি। মাস্ক দিবে বলেছে ঢুটুল। টুটুলের বড় ভাই ময়মনসিংহ এগ্রিকালচার ভার্সিটিতে পড়ে। তার কাছে নাকি একটা মাস্ক আছে। সেটা টুটুল মুখে দিয়ে দেখেছে তার মুখে আটে না বড় হয়, তবে পিছনের বেল্টটা একটু টাইট করে বাধলে কোন সমস্যা হবে না, যেকোন ধরনের গন্ধ …. টের পাওয়া যাবে না। টুটুল তাই বলেছে। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার সাথে নিতে হবে। এ মাস্কের পাশ দিয়ে অক্সিজেন পাস করার একটা সিসটেম নাকি আছে। সব যন্ত্রপাতি হাতে চলে এলে একটা রিহার্সেল দিতে হবে মাহিনকে। তবে ভিতরে ভিতরে মাহিন তার বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ করে, তারা তার জেলে ঢোকার ব্যাপারে যথেষ্ট সাহায্য করছে। অবশ্য এই মুহুর্তে পুরো বিষয়টা জানে মাত্র তিনজন মাহিন নিজে টুটুল আর জয়নাল।