ফ্ল্যাপে লেখা কথা
‘বাংলাদেশের পক্ষে বড্ড বেশি বড়ো তিনি, আমাদের মনের মাপজোকের মধ্যে কুলোয় না তাঁকে, আমাদের সহ্যশক্তির সীমা তিনি ছড়িয়ে যান।’ বুদ্ধদেব বসুর এই বিবৃতির মধ্যে স্বজাতির হাতে রবীণ্দ্রনাথের লাঞ্ছনার কারণ উদঘাটনই শুধু হয় নি, যে দেশে রবীন্দ্র প্রতিভার মতো একটি অসম্ভব ব্যাপারের জন্ম ও বিকাশ হয়েছিলো তারই প্রেক্ষিতে ওই বিপুলতার পরিমাপও হয়েছে। বলা বাহুল্য, এই পরিমাপণ হতে রবীন্দ্রনাথের স্বাজাতি বাঙালি আজ অব্দি কোনো ফলাফলে পৌঁছাতে পারে নি। আর, সে কারণেই স্বকালের মতো অতোখানি না হলেও এবং বিশ্বব্যাপী একটে গোটা সংস্কৃতির প্যাশন ও ফ্যাশনে রূপান্তরিত হবার পরেও আজও রবীন্দ্রনাথ অনাবিষ্কৃত, প্রায়শ-লাঞ্ছিত, ঈশ্বরের মতো একা। এই একাকীত্ব, স্বজন ও স্বজাতির হীনতার বিপরীতে রবীন্দ্রনাথের অসীম নৈর্ব্যক্তিক স্থৈর্যের প্রকাশ তথ্য আর উদ্ধৃতির সহযোগে প্রামাণ্যরূপে উপস্থিত এই গ্রন্থ। এ সত্যিই অন্য এক রবীন্দ্রনাথ!