“শ্যাওলা জমা বাড়ি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বাংলাদেশের একটি গ্রামের অনবদ্য বর্ণনায় এসেছে অকৃত্রিম নিসর্গের ভেতর একটি পরিবারের জীবনাচার। প্রথম পর্বের নায়িকা মােহরজান- তার ত্যাগ চিরায়ত নারীর আত্মত্যাগের মতই ব্যথিত করে পাঠক হৃদয়কে। পপি এবং মােস্তাকিমের প্রেমপর্বের রােমান্টিক আবহ ও দুটি হৃদয়ের ব্যাকুলতা ফুটে উঠেছে তাদের সংলাপে। সংলাপ বর্ণনায় লেখিকার মুন্সিয়ানা বিস্ময়কর। পপির পদস্খলন ও অন্ধকারে দিকে পা বাড়ানাে উপন্যাসের করুণ অধ্যায়। মােস্তাকিমের সংগ্রামী জীবন তার ভালাে লাগে না। ঐশ্বর্য এবং অর্থলােভে সে পাড়ি জমায় ভিন্ন জগতে। একটি বাঙালি মেয়ের কোমল ভালােবাসায় সিক্ত এক ধনকুবেরের বিলাসী জীবন হয়ে ওঠে শীতল এবং সংসারী। উপন্যাসটিতে নিপুণ দক্ষতায় অঙ্কিত হয়েছে বাঙালি নারীর শ্বাশতরূপ। নস্টালজিক মনােলগে দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা বর্ণনায়।