ফ্ল্যাপে লিখা কথা
পাত্র যখন কনে প্রিন্সেস সুলতানা আল-সউদকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমাকে কি খৎনা করানো হয়েছে’?
প্রিন্সেস জানে নারী-খৎনা তো বহুল প্রচলিত একটি প্রথা। কি জনাব দেবে সুলতানা?
আরবীয় পুরুষের লাম্পট্যে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু কনে যদি ভার্জিন না হয়, বাসর রাত পার হবার পর ভোরবেলা যদি শাশুড়ির হাতে রক্তাক্ত চাদর তুলে দিতে না পারে তাহলে এই কনের পরিণতি কি হবে?
হ্যান্ডকাফে বন্দি কিশেঅরী অমাল। দু’পায়েও লোহার শিকল, গর্ভের সন্তানটি হাসপাতালের ম্যাটানিটি ওয়ার্ডে নেমে আসতেই ধর্মশাসকরা তাকে নিয়ে চলল বধ্যভূমিতে। পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হবে এই ব্যাভিচারিনীকে।
কিশোরী নাদিয়াকে ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদেরই পারিবারিক সুইমিং পুলের নীল পানিতে। তার মোহনীয় হাসি চিরদিনের জন্য সমাহিত হচ্ছে সুইমিং পুলে।
জিন শ্যাসনের ‘প্রিন্সেস’ না পড়লে কি আর আরব-জাহানের এত কিছু-জানা হত!