আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন তৃতীয় খণ্ড : বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিতর্কিত অধ্যায়
বাংলাদেশ ও গোটা উপমহাদেশে কমিউনিস্ট বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাস ১৯২০ সালে তাশখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম আত্মপ্রকাশ থেকে শুরু করে দীর্ঘ সাতাত্তর বছরের ইতিহাস। এ দীর্ঘ সময়ে উপমহাদেশের তিনটি দেশে (ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে) মার্কসবাদী-লেনিনবাদী বিপ্লবীরা বিপ্লবে নিবেদিতপ্রাণ হয়েও কমিউনিস্ট আন্দোলনকে একটি সার্বজনীন গণবিপ?বে রূপান্তরিত করতে পারেননি এ বিষয়ে আজ বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। বিপ্লবীদের এই ব্যর্থতার কারণে জনগণের মনে হতাশার ধস নেমেছে এটিও অনস্বীকার্য।
কিন্তু সকল ব্যর্থতা ও হতাশার ঊর্ধ্বে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে, দেশের প্রচলিত রাজনীতির অন্তঃসারশূন্যতার কারণেই জনগণের সার্বিক মুক্তির জন্য একটি সার্বজনীন গণবিপ্লব আজ অপরিহার্য।
সেই সার্বজনীন গণবিপ্লবের অপরিহার্যতার প্রেক্ষাপটে লেখক তার বর্তমান গ্রন্থে বাংলাদেশের (এবং উপমহাদেশের) কমিউনিস্ট আন্দোলনের ব্যর্থতাসমূহের সংক্ষিপ্ত সারসংকলনের চেষ্টা করেছেন বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে, খানিকটা ভিন্ন আঙ্গিকে।
এই প্রজন্মের আন্তরিক বিপ্লবীদের চিন্তা ও চেতনাকে নতুন দিকনির্দেশনায় উজ্জীবিত করতে বর্তমান গ্রন্থটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে তা বলা যেতে পারে।
রইসউদ্দিন আরিফ
১৯৪৩-এ ময়মনসিংহের অজগাঁয়ে জন্ম। ষাটের দশকে বাম ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করার পর শিক্ষা বিভাগে ‘স্কুল পরিদর্শকে’র চাকরিতে যোগ দেন। ’
৭০-এ ‘পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলনে’র সাথে প্রাথমিক যোগযোগ ও ’৭১-এ কমরেড সিরাজ সিকদারের সাথে যোগাযোগ হয়। ’৭২-এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া স্ত্রী ও কোলের শিশুপুত্রসহ সার্বক্ষণিক বিপ্লবী ক্যাডার হিসেবে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টিতে যোগ দেন। শুরু হয় আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন।
কমরেড সিরাজ সিকদারের মৃত্যুর পর ’৭৬-এ সর্বহারা পার্টির ‘অস্থায়ী পরিচালনা কমিটি’র সম্পাদক হন। ’৭৭-’৭৮-এ কারাবরণ করেন। কারামুক্তির পর থেকে সপরিবারে ঢাকায় আছেন। পেশা সাংবাদিকতা ও লেখালেখি।