ফ্ল্যাপে লিখা কথা
‘দাদু রণাঙ্গণে লেখা পায়েরিটা জমা দিতে গিয়েছিলেন সদরে। শুনেছি সেটি দিয়ে বই হবে। সম্ভবত কোন ঝামেলা হয়েছে। আমি আম্মুকে টেনে বের করলাম ঘর থেকে। দাদুর ক্ষোভের কারণ জানার জন্য আগ্রহ তৈরি করলাম। তখন শেষে বিকেলের পশ্চিমাকাশটা হলদেটে রঙ ধরেছিল। আতাফল গাছটার পাতাগুলোও হয়ে পড়েছিল নিথর। দাদুর কাছে নিঃশব্দ পায়ে গিয়ে দাঁড়ালেন আম্মু। পেছনে আমিও। আম্মুর কাঁপা কণ্ঠের প্রশ্ন মুনে দাদু বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন। বিড়বিড় করতে করতে বললেন, বৌমা আমার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট চেয়েছে ওরা। আমি সার্টিঠিকেট আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কি দেখলাম জানো? ওই চেয়ারটাতে একটা শূকর বসে আছে। হাতে বড় বড় নখ।
দাদু… আমি ডাকলাম। দাদু আমার দিকে তাকালেন না । আতাফল গাছের একটা পাতা ছিড়ে আঙুলে মুচড়িয়ে পিষে ফেলে দিয়ে এগিয়ে গেলেন সামনের দিকে। আকাশটা তখন গাঢ় বাসন্তি রঙ ধরেছিল।’
মুক্তিযুদ্ধের এই গল্পটি ছাড়াও বইটিতে রয়েছে কৌতুহল আর আনন্দের মোট চারটি গল্প।