“মহাকাশ গবেষণা” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
মহাকাশ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। আর এ কারণে গবেষকরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই অজানাকে জানার জন্য। বিজ্ঞানীদের গবেষণার আরও একটি অধ্যায় হল মহাকাশ গবেষণা। এই মহাকাশের কোনাে বুদ্ধিমান প্রাণী আছে কিনা সেই সব নিয়েও গবেষণার শেষ নেই। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা প্রতিদিনই নিত্যনতুন গ্রহের সন্ধান পাচ্ছেন। নাসার কেপলার মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে ১ হাজার ২৩৫টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন।
মানুষ্যবিহীন নভােযান ‘ভয়েজার-২’ ১৯৭৭ সালে মহাশূণ্যে পাঠানাে হয়। এরপর থেকে এটি অব্যাহতভাবে তথ্য পাঠাতে থাকে। নাসার বিজ্ঞানীরা এই তথ্যের সহায়তায় মহাশূণ্য নিয়ে গবেষণা করতেন। কিন্তু নভােযানটি ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল হঠাৎ তথ্য পাঠানাে বন্ধ করে দেয়। পদার্থবিদ ও মহাকাশ গবেষক স্টিফেন হকিং বলেছেন, ‘মহাবিশ্বের অন্য কোনাে স্থানের মানুষের মতাে বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব থাকার কথা ভাবা অযৌক্তিক নয়’। মানব সভ্যতাকে দীর্ঘায়িত করতে মহাশূণ্যে আরও বেশি নভােচারী পাঠিয়ে নতুন বাসস্থান খোজার জন্য তাগিদও দিয়েছেন তিনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস মহাকাশ বইটি পড়ে ছােট বড় সবাই মহাকাশ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবে।