ছড়ায় ছড়ায় আলোকিত এখন বাংলা শিশুসাহিত্যভুবন। ‘ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গি এলো দেশে …’ ইত্যাদি ছড়া কার না ভালো লাগে। ছড়া পড়তে ভালোবাসে ছোট-বড় সবাই। শিশুদের পাঠের হাতেখড়ি এই ছড়া দিয়ে। আধুনিক ছড়াসাহিত্যে পথিকৃত দÿিণরঞ্জন মিত্র মজুমদার। তারপর কালের বিবর্তনের সঙ্গে ছড়াসাহিত্যে সৃষ্টিশীলতার পথ বেয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালে বাংলাদেশের ছড়ায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। একসময় ছড়া ছিল শিশুদের ঘুমপাড়ানির উপকরণ, তা এখন ঘুমজাগানিয়া স্স্নোগানে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এ দেশে যারা ছড়াসাহিত্যকে সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় করতে গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে থেকেই ফয়েজ আহমদ, সুকুমার বড়ুয়া, লুৎফর রহমান রিটন, আমীরম্নল ইসলাম, ফারম্নক নওয়াজ, এবং রহীম শাহ এই ছয়জন ছড়াশিল্পীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা ছয়টি বই প্রকাশ করা হলো ‘মজার পড়া ১০০ ছড়া’ এই এক শিরোনামে।। এঁদের সবার ছড়া নির্বাচন করা হয়েছে মূলত ছোট্টমনিদের কথা মাথায় রেখেই।
লুৎফর রহমান রিটন জন্ম ১ এপ্রিল ১৯৬১, ঢাকায়। শিÿ : ১৯৭৯ সালে নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি; ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে এইচএসসি; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৮৯ সালে আবুজর গিফারি জলেজ থেকে স্নাতক। ইতোমধ্যে তাঁরপ্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গেছে। পুরস্কার পেয়েছের অনেকগুলো। যেমন : সিকান্দার আবু জাফর সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২ ও ১৯৯৬, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার ১৯৮৪ এবং বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০০৭। পেশা হিসেবে নিয়েছেন প্রধানত সাংবাদিকতাকে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় বিভাগীয় ও নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত কিশোর-তরম্নণদের উৎকর্ষধর্মী মাসিক ‘আসন্ন’ ও ছোটদের মাসিক পত্রিকা ‘ছোটদের কাগজ’ সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েক বছর। টেলিভিশনের উপস্থপক ও নাট্যকার হিসেবেও খ্যাতিমান। বাংলা একাডেমীর নির্বাচিত কাউন্সিল সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন (১৯৯৯-২০০২)। জাপানস্থ বাংলাদেশ ধূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি, প্রেস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন (জুন ২০০১ ফেব্রম্নয়ারি ২০০২)ক। বর্তমানে স্ত্রী শার্লি ও কন্যা নদীসহ কানাডা-প্রবাসী।