ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
চব্বিশ বছরের ভেরোনিকা আপাতত সবই আছে-রূপ-যৌবন, স্নেহময় পরিবার, কয়েকজন বয়ফ্রেন্ড এবং একটা পূর্ণতাপ্রদায়ী চাকুরী।কিন্তু ওর জীবনে কী যেন ‘একটা কিছু’ নেই।তাই……. এক নভেম্বরের এক শীতল বিকেলে সে সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যার!পরিমিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশী ঘুমের ওষুধ খায় ভেরোনিকা, যেন আর কোনোদিন জাগতে না হয়।কিন্তু সে জেগে ওঠে এক মানসিক হাসপাতালে যেখানে সে জানতে পায় তার আয়ূস্কাল আর মাত্র হাতে গুণে কয়েকদিন।…… পাওলো কোয়েলো’র লেখার গভীরতায় পাঠকমন ভারি হয়ে উঠবে ‘ভেরোনিকা ডিসাইড্স টু ডাই’-এর অন্তর্গত কাহিনীর প্রতিটি আখ্যানে। আমাদের সভ্য সংস্কৃতির ধারক কৃষ্টিসমূহের মর্মাথ সন্ধানে পাওলো কায়েলো পাঠককে ইঙ্গিত করেন ‘উদ্বেগানুভূতি, প্রাণহীন কার্যসারণীর কঠোরতা আর জীবনব্যাপী শৃঙ্খলার’র দিকে। লেখকের জীবন-অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে লেখা ‘ভেরোনিকা ডিসাইড্স টু ডাই’-এ উত্থাপিত সংকট পাঠকককে প্রশ্ন করে, সমাজের স্বাভাবিক ধারায় যারা নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে না এ কাহিনী তাদের ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান জানানোর আহবান জানায়।