লেখক পরিচিতি
কবি, সাহিত্যিক, বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
পায়ের তলায় এসে দাঁড়িয়েছে পথ প্রণয়ের স্তব নয়, মাহাত্ম্য নয়, প্রণয়ের মর্মার্থও নয়- খালেদ হোসাইনের প্রণয়- অভিজ্ঞতা, প্রীতি যাপনের এক ঝলকের অন্ধ মুহুর্ত, অথবা সম্পর্কসেতুর নিঃশব্দ ভাঙন। আর এ-সবেরই সহগামী ষড়যন্ত্রের ‘বিষমাখা শর’, সিসমহলে নৃত্যরত ‘ডাইনির মেয়ে’, ‘কঙ্কালের বাঘ’, ‘দক্ষ বেদেনী’, ‘লেলিহার প্রস্তরফলক, তেমনি ‘স্বপ্নবাড়ি,’ ‘আকাঙ্ক্ষা পিদিম’, ‘সূর্যমগ্ন জলকুমারী’ এবং ‘স্বপ্নধূলি’। পায়ের তলায় এসে দাঁড়ানো প্রণয়ের এই সব পথে খালেদ হোসাইন গেঁথে দিয়েছেন সমস্ত বিরহভার, আকাঙ্ক্ষার উড্ডীন উচ্ছ্বাস, কখনোবা নিঃসায় সমর্পণ- তোমার কিছুই আমি জানি না, দয়াল, তুমি এত ভালো, আমি ঘর খোলা রেখে চলে যাই/ বিপরীত মেরুতে আর তুমি আমার দুয়ারে এসে বসে থাক, আমি খুঁজে ফিরি তোমাকেই। মূলত দশ দিক মন্থন করে এই কবি খুঁজে দেখেন প্রণয় আর জীবনের সরব সহজতা; তবু সহজ হল না কোনো-কিছু। স্বচ্ছ সমীকরণ নেই বলে কবিও জড়িয়ে যান দ্বৈরথে- এ দ্বৈরথ নিজের সঙ্গে নিজের, দয়িতার, জগত-সংসারের কবিতার ভাষাও তাই পরিগ্রহ করেতে তর্ক-উপযোগী গদ্যভাষা।
কবিতায় কী যে খুঁজে ফিরছেন খালেদ হোসাইন অথবা কী যে গেঁথে দিতে তিনি চান কবিতার মর্মমূলে, অথবা কবিতা কীভাবে তুর্কি-নাচন নাচিয়ে তাঁকে অস্থির করে তুলছে গ্রন্থের পর গ্রন্থে, তা সাম্প্রতিক বালা কবিতার এক লক্ষণীয় বিষয়।
মনস্ক পাঠক জানেন, এসব কবিতা গোপন ও নীরব সাধনার ফল।