ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
প্রকৌশলী যখন কবি কর্মজীবনে তিনি একজন প্রকৌশলী। ইট-কাঠ সিমেন্ট আর লোহালক্কড় নিয়েই তার কাজকর্ম। তারপরও তিনি কবিতা লেখেন। কবিতা তিনি ভালোবাসেন, তাই তো তার উচ্ছারণ,‘নিন্দকেরা যে যাই বলুক, ভালো তোমায় বাসবো তবু।’ মনের সব ভাবনাকে আবেগের সঙ্গে মিশিয়ে বাঙ্মম করে তোলেন। তার অকপট জবানীতে তিনি বলেছেন, কবিতার একটি বই প্রকাশের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বজন, সহযোগী ও সতীর্থদের কাছে তার মনের ভালোবাসাটুকু উন্মোচিত করা। তাদের অনুপ্রাণিত করা। তার কবিতার পঙ্ক্তিগুলো পড়ে আামর মনে হয়েছে তিনি সহজ, সরল ভাষা প্রয়োগ করে, শব্দ সাজিয়েছেন বিশ্বস্ততার সঙ্গে তার মনের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে। সেখানে কোনো কৃত্রিমতা নেই, ভনিতাও নেই। লেখাগুরো কবিতা হিসেবে কতটা সফল বা সার্থক হয়েছে সে বিচার-বিশ্লেষণ করবেন কবি এবং কবিতার ব্যাকরণবিদরা। আমি একজন সাধারণ পাঠক ও পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে তার পাণ্ডুলিপিটি পড়ে, তার ভাবনা, বক্তব্য এবং আবেগের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করেছি। তার প্রকাশিত প্রথম বইটি পড়ে কোনো পাঠক কিছুটা হলেও আগ্লত হলে, কবি মোঃ শফিকুল ইসলাম আনন্দ আবেন বলেই আমার ধারণা। কেননা তিনিই বলেছেন,‘একটা সুন্দর মনের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছি আমি….’ সাইফুল আলম