বাংলা বানান ও ভাষারীতি

৳ 250.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9844080991
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২২০
সংস্কার 2nd Printed, 2011
দেশ বাংলাদেশ

“বাংলা বানান ও ভাষারীতি” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
বাংলা ভাষায় লেখার সময় প্রধানত দু ধরনের ভুল হয়ে থাকে।
১. বানানের ভুল এবং ২. সাধু ও চলিত ভাষারীতির মিশ্রণজনিত ভুল।
বলা বাহুল্য লেখালেখির সময় এ দুটি বিষয়ে সচেতন না থাকার ফলে এ ধরনের ভুলভ্রান্তি লেখার সৌন্দর্য নষ্ট করে। অথচ বাংলা ভাষা নির্ভুলভাবে প্রয়ােগ করা আমাদের সকলের কর্তব্য। এ কর্তব্য যথাযথ পালনের জন্য বানান নির্ভুলভাবে লিখতে হবে, বানান একরকম রাখতে হবে এবং সাধু, ও চলিত ভাষারীতির দূষণীয় মিশ্রণ পরিহার করতে হবে। এই কাজগুলাে ঠিকমত করার জন্য দরকার বানানের নিয়মকানুন জানা এবং সাধু ও চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবহিত থাকা।
বাংলা বানান ও ভাষারীতি’ বইটিতে বাংলা ভাষার সম্ভাব্য ভুলভ্রান্তির এ দুটি বিশেষ দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা স্থান পেয়েছে। বানানের সমস্যা ও তার সমাধান দেখাতে গিয়ে বানানের নিয়মকানুন সম্পর্কে আলােকপাত করা হয়েছে। বানানে সমতা বিধানের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেসব নিয়ম চালু করেছে তার সবগুলােই এ বইয়ে উল্লেখ করা হল। এতে বানানে সমতা বিধানের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সম্পর্কে ধারণা করা যাবে এবং এ থেকে নির্ভুল বানান লেখার জন্য প্রয়ােজনীয় দিকনির্দেশনাও লাভ করা সম্ভব হবে। অনদিকে বাংলা গদ্যে সাধু ও চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। এই আলােচনা থেকে সাধু ও চলিতরীতির পার্থক্য নির্ণয় করা সহজ হবে। লেখার সময় দুই রীতির মিশ্রণ যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সচেতন থাকা যাবে। বাংলা এখন পৃথিবীতে ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক থেকে চতুর্থ-স্থানীয় ভাষা। বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। বাংলা ভাষার সর্বস্তরে ব্যবহারের প্রয়ােজনীয়তা ও উপযােগিতা সম্পর্কে এখন সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাই বাংলা ভাষা নির্ভুলভাবে ব্যবহার করে এর মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে।

কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক মাহবুবুল আলম ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন। হাইধন কান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মােল্লা পরিবারে জন্মগ্রহণ। করেন। বাবা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও স্বনামধন্য। শিক্ষক সাহেব আলী মাস্টার, মা বিদুষী গৃহিণী। রাবেয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে মাহবুবুল আলম। তাদের ষষ্ঠ সন্তান এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ।। স্থানীয় ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পাঁচ পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় । থেকে এস.এস.সি, নিমসার জুনাব আলী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তেজগাও কলেজ থেকে বি.এ ও এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। সত্তর দশকের গােড়ার দিক থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। সিলেট সমাচার, যুগভেরী, বাংলার। বার্তাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন পক্রিকায় লেখালেখির। মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার বিকাশ ঘটে। একই সাথে। প্রসূন সাহিত্যাঙ্গনের সম্পাদক হিসাবে। মৌলভীবাজারের সমসাময়িক সাহিত্যানুরাগীদের। মুখপাত্র সাহিত্যের কাগজ প্রসূন সম্পাদনা করেন।। বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা ও। সাময়িকীতে নিয়মিত কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ,। কলাম লিখছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪২। সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি কবিতাঙ্গন। এ্যাওয়ার্ড (২০০৭), পল্লীচিত্র এ্যাওয়ার্ড ২০০৭ এবং ড.মমিনুল হক একাডেমি ইউ.কে এ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ভাষা প্রকাশ ও কাব্যমালঞ্জলি পুরস্কার। (২০১০) বিন্দুবিসর্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ, গাইবান্ধা সম্মাননা-২০১১, জাতীয় কবিতা পরিষদ। বুর জেলা শাখা সম্মাননা-২০১১, সংশপ্তক বঙ্গবীর। ওসমানী পদক, অলইডিয়া চিলড্রেন লিটারারী। কষ্টতে উৎপল হােমরায় স্মৃতি পুরস্কার-২০১২। ও ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের কবি ও কবিতা পত্রিকা। সনা -২০১২, সাপ্তাহিক কালপুরুষ পত্রিকা। সমৰ২০১৩, ইংলা কবিতা উৎসব সম্মাননা২০১৩ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রজত ও বন গবেষণা গ্রহের জন্য।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ