“মরুস্বর্গ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
খ্রিষ্ঠজন্মেরও সহস্রাধিক বৎসর আগের প্রাচীন পৃথিবীর এক নির্দিষ্ট ভূখণ্ড এই উপাখ্যানের পটভূমি। বাঁকা চাঁদের মতাে সেই ভূখণ্ডের উত্তরে কৃষ্ণসাগর, দক্ষিণে আরব মরুভূমি। পূর্বে পারস্য, পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর। আবুল বাশারের এই উপন্যাসের একদিকে মরুভূমি, অন্য দিকে শস্যশ্যামল ভূমিক্ষেত্র। জন্ম-যাযাবর মানুষ মরুভূমি থেকে চলেছে মাটির দিকে। কিন্তু বার বারই সে উচ্ছেদ হয়। মরুভূমিতে বিচরণশীল মানুষ স্বর্গের কল্পনা করেছিল। আর এই কল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে প্রয়ােজন হয়েছে নারীকে। তেমনই এক নারী রিবিকা, এ-উপন্যাসের নায়িকা। তাকে ঘিরে তিন নায়ক। এদের মধ্যে একজনকেই ভালবেসেছিল রিবিকা। অন্য জন চেয়েছিল তার শরীরের আশ্রয়। তবু রিবিকার জীবনের প্রধানতম অবলম্বন হয়ে উঠল তৃতীয় একজন। কীভাবে, তাই নিয়েই এই দারুণ পরিশ্রমী ও দুর্দান্ত কৌতুহলকর এপিক উপন্যাস। অনন্যস্বাদ এই কাহিনীর পটভূমি যেমন অভিনব, গঠনেও তেমন মিশেছে পুরাণ, উপকথা, কিংবদন্তী বা লােককল্পনার বিভিন্ন উপাদান। কিন্তু একই সঙ্গে ভিতরে কোথায় যেন সমকালীন ভারত তার যাবতীয় সমস্যা নিয়ে জ্বলন্ত ।