‘আশ্চর্যকথা হয়ে গেছে’ বইয়ের ফ্লাপের লেখা
জন্মস্থান জলপাইগুড়ি শহর ছেড়ে চারটি কিশাের চলে এসেছিল জীবনের বৃহত্তর অঙ্গনে। তারা এখন সবাই জীবনে প্রতিষ্ঠিত। বয়সও মধ্যগগন পেরিয়েছে। সময় অনেক কিছু কেড়ে নিলেও নিতে পারেনি রহস্য-রােমাঞ্চ মেশানাে কৈশাের স্মৃতি। তাই একদিন সুরঞ্জন, বিজন, গােপাল ও শ্যামল একসঙ্গে পাড়ি দিল ফেলে আসা সেই মফস্বল শহরে। সেখানে পৌছতেই স্মৃতি তার দরজা খুলে দিল। তাদের চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠল কৈশােরের সেই লীলাভূমি, আর তখনকার মানুষজন। সেইসব মানুষের জীবনের সাফল্যব্যর্থতার বিষাদময় রঙিন কাহিনী। আর উন্মােচিত হল কয়েকজন নারীর আশা ও আশাভঙ্গের নানা গল্প। যে নারীরা একসময় ছিল রূপসী কিশােরী—যাদের কৃপাদৃষ্টি পাওয়ার জন্য ফোর মাস্কেটিয়ার্স’ টহল দিত শহরের রাজপথে। প্রথম কাহিনীটি যদি হয় এক বিষাদমধুর সুর, তবে দ্বিতীয় কাহিনীতে বেজেছে এক অদ্ভুত বিষন্নরাগিণী। অসমবয়সী অর্ণব, নীনা আর কল্পনা নিজেদের আঁকড়ে ধরতে চেয়েছে এক একটি সম্পর্কে। এই তিন বাংলাদেশী নারী-পুরুষ জীবনের ছন্দ ফেরাতে আমেরিকায় চলে এসেছে। আগে আছে আঠাশ বছর বয়সী অর্ণব আর আটচল্লিশের নীনা। পরে কল্পনা। এরা পরস্পরকে ভালবেসেছিল। দুঃখ পাবে এবং দুঃখ দেবে জেনেও। কিন্তু ভালবাসার জন্য কি জীবন নিয়ে জুয়াে খেলেছিল ওরা? সেই আশ্চর্যকথা এখানে।
সূচিপত্র
আশ্চার্যকথা….৭
কথা হয়ে গেছে….৫৭