“ছায়াবৃতা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ঢাকার মেয়ে অহনা আমিন স্বামীর সঙ্গে ডিভাের্সের পর যােলাে বছরের মেয়ে তৃণাকে নিয়ে নিউইয়র্কে থাকে। এখানে একটা তিনতলা বাড়ির মালিক অহনা, যে বাড়ির একতলা এবং তিনতলা ভাড়া দেওয়া। তার দেশের বন্ধু লিটনের সঙ্গে সে একটা ব্যবসায় নেমেছে। লিটনের স্ত্রী মীনা অনেকটাই শরীরসর্বস্ব। আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিদের প্রিয় এলাকা জ্যাকসন হাইটের বাংলা বইয়ের দোকানে পাশাপাশি শােভা পায় হুমায়ুন আহমেদ, শামসুর, সুনীল, সুচিত্রারা। পাওয়া যায় ইলিশ কিংবা লাল শাক। কিন্তু পরের প্রজন্ম তাে আমেরিকান বাঙালি, তাদের অত বাঙালিয়ানার প্রতি টান নেই। এই নিয়েই অহনার সঙ্গে মেয়ে তৃণার দ্বন্দ্ব। আমেরিকাকে স্বপ্নের দেশ মনে করে মরিয়া স্বপ্ন একদিন মিথ্যা পরিচয়ে ভিসা জোগাড় করেছিল। অচিরেই তার মােহভঙ্গ হয়। তৃণার বয়ফ্রেন্ডের হাতে তার মা অহনা বিশ্রীভাবে খুন হলে স্বপ্না দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিরা কেমন আছে, তারই বিশ্বাসযােগ্য কাহিনি ছায়াবৃতা’।