জীবন যৌবন

৳ 250.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9788172158569
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৮৫
সংস্কার 1st Edition, 1999
দেশ ভারত

‘জীবন যৌবন’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
সত্য ও স্বপ্নের টানাপোড়েনে অন্নদাশঙ্কর রায়ের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। সুচনা বিশ শতকের শুরুতে। ওড়িশার জঙ্গলপাহাড় ঘেরা দেশীয় রাজ্য। বিমিশ্র সমাজ। বিচিত্র জীবনযাত্রা একই সঙ্গে মধ্যযুগীয় ও আধুনিক। সেখানেও পৌঁছয় প্রমথ চৌধুরীর ‘সবুজ পত্র’ ও রবীন্দ্রনাথের সম্ভাষণ, ‘ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা!’ বালক অন্নদাশঙ্করের জীবন ঘটে এক উদ্ভাসন। তারপর ইংরেজের বিরুদ্ধে গান্ধীজির অসহযোগের আহ্বানে উদ্বেলিত বয়ঃসন্ধি। কিন্তু জীবনের ছক পালটে ইংরেজের কলেজেই ভর্তি হতে হয়। ওড়িয়া সাহিত্যে ‘সবুজ যুগে’র প্রবর্তন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রথম। এবং প্রথম প্রণয় এক জমিদার-পত্নীর সঙ্গে। আবার ছক পালটে যায়। গান্ধীবাদী যুবক অংশ নেন আই সি এস প্রতিযোগিতায়। প্রথম স্থান লাভ করে পাঁচ বছরের জন্য ইংরেজের চাকুরি গ্রহণ। আবার দুর্বার প্রেম। জীবনের ছক ভাঙাগড়া চলতেই থাকে অবিরাম।
ব্যক্তিগত স্মৃতিকথার পাশাপাশি চলে ভারতে ব্রিটিশরাজের শেষ দুই দশকের ঘনিষ্ঠ কাহিনী—অখণ্ড বাংলার সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদ থেকে বাংলাভাগ পর্যন্ত পর্বের ভেতর-থেকে-জানা বহু বৃত্তান্তে সমৃদ্ধ। সবশেষে পশ্চিমবাংলার প্রথম কয়েক বছরের ইতিহাস রচনার জন্য কিছু অমূল্য উপাদান।
তবে অন্তিম বিচারে ‘জীবন-যৌবন’ বহু তল, বহু বর্ণ ও বহু মাত্রায় বিশিষ্ট এক বিদগ্ধ সৃষ্টি যা একই সঙ্গে সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক ও সমাজবিজ্ঞানীর গভীর অভিনিবেশ দাবি করে।

সূচি পত্রঃ
* প্রথম জীবন – ১১
* প্রথম যৌবন – ৩৫
* যৌবন মধ্যাহ্ন – ৬৫
* যৌবন সায়াহ্ন – ১২৫

(মার্চ ১৫, ১৯০৪ - অক্টোবর ২৮, ২০০২), একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক। ভারতের উড়িষ্যা জেলার তার জন্ম। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকারও। অন্নদাশঙ্করের জন্ম হয় ব্রিটিশ ভারতে বর্তমান উড়িষ্যার ঢেঙ্কানলে । তাঁর পিতা ছিলেন ঢেঙ্কানল রাজস্টেটের কর্মী নিমাইচরণ রায় এবং তাঁর মাতা ছিলেন কটকের প্রসিদ্ধ পালিত বংশের কন্যা হেমনলিনী । ছোটবেলায় ঢেঙ্কানলে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় । ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন । এরপর সংবাদপত্রের সম্পাদনা শিখতে কলকাতা বসুমতী পত্রিকার সম্পাদক হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের কাছে যান । তিনি শর্টহ্যান্ড, টাইপরাইটিং এবং প্রুফরিডিং-ও শেখেন । কিন্তু এই কাজ তাঁর ভালো লাগেনি । এরপর তিনি কটকের র‌্যাভেনশ কলেজ থেকে আই.এ পরীক্ষা দেন এবং তাতে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন । ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পরীক্ষাতেও তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম স্থানাধিকারী হন । ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে এম.এ পড়তে পড়তে আই.সি.এস পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয়বারে পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে প্রথম স্থান অধিকার করেন । তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এ গৌরব লাভ করেন। সেই বছরেই তিনি সরকারি খরচে আই.সি.এস হতে ইংল্যান্ড যান । সেখানে তিনি দুই বছর ছিলেন । এই সময়ে তাঁর ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী পথে প্রবাসে বিচিত্রায় প্রকাশিত হয় । ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন কন্যা অ্যালিস ভার্জিনিয়া অনফোর্ডকে বিবাহ করে তিনি তাঁর নাম দেন লীলা রায় । লীলা রায় বহু বই বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন । অন্নদাশঙ্করের অনেক লেখা লীলাময় ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছিল । ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম নদীয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কাজে যোগ দেন । তিনি বছর এই পদে থেকে বিভিন্ন জেলায় কাজ করে কুমিল্লা জেলায় জজ হিসাবে নিযুক্ত হন । ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সরকারী কাজে নিযুক্ত থেকে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিচার বিভাগের সেক্রেটারি হন । ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্বেচ্ছায় সরকারী চাকরি থেকে অবসর নেন । ২৮ অক্টোবর , ২০০২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ