‘জীবন যৌবন’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
সত্য ও স্বপ্নের টানাপোড়েনে অন্নদাশঙ্কর রায়ের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। সুচনা বিশ শতকের শুরুতে। ওড়িশার জঙ্গলপাহাড় ঘেরা দেশীয় রাজ্য। বিমিশ্র সমাজ। বিচিত্র জীবনযাত্রা একই সঙ্গে মধ্যযুগীয় ও আধুনিক। সেখানেও পৌঁছয় প্রমথ চৌধুরীর ‘সবুজ পত্র’ ও রবীন্দ্রনাথের সম্ভাষণ, ‘ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা!’ বালক অন্নদাশঙ্করের জীবন ঘটে এক উদ্ভাসন। তারপর ইংরেজের বিরুদ্ধে গান্ধীজির অসহযোগের আহ্বানে উদ্বেলিত বয়ঃসন্ধি। কিন্তু জীবনের ছক পালটে ইংরেজের কলেজেই ভর্তি হতে হয়। ওড়িয়া সাহিত্যে ‘সবুজ যুগে’র প্রবর্তন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রথম। এবং প্রথম প্রণয় এক জমিদার-পত্নীর সঙ্গে। আবার ছক পালটে যায়। গান্ধীবাদী যুবক অংশ নেন আই সি এস প্রতিযোগিতায়। প্রথম স্থান লাভ করে পাঁচ বছরের জন্য ইংরেজের চাকুরি গ্রহণ। আবার দুর্বার প্রেম। জীবনের ছক ভাঙাগড়া চলতেই থাকে অবিরাম।
ব্যক্তিগত স্মৃতিকথার পাশাপাশি চলে ভারতে ব্রিটিশরাজের শেষ দুই দশকের ঘনিষ্ঠ কাহিনী—অখণ্ড বাংলার সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদ থেকে বাংলাভাগ পর্যন্ত পর্বের ভেতর-থেকে-জানা বহু বৃত্তান্তে সমৃদ্ধ। সবশেষে পশ্চিমবাংলার প্রথম কয়েক বছরের ইতিহাস রচনার জন্য কিছু অমূল্য উপাদান।
তবে অন্তিম বিচারে ‘জীবন-যৌবন’ বহু তল, বহু বর্ণ ও বহু মাত্রায় বিশিষ্ট এক বিদগ্ধ সৃষ্টি যা একই সঙ্গে সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক ও সমাজবিজ্ঞানীর গভীর অভিনিবেশ দাবি করে।
সূচি পত্রঃ
* প্রথম জীবন – ১১
* প্রথম যৌবন – ৩৫
* যৌবন মধ্যাহ্ন – ৬৫
* যৌবন সায়াহ্ন – ১২৫