ফ্ল্যাপে লিখা কথা
যুক্তিবাদ ও প্রযুক্তি প্রভাবিত আমাদের বর্তমান সময়টি সেক্যুলার হওয়ার কথা, কিন্ত বিশ্বের প্রতিটি প্রধান ধর্মের ক্ষেত্রে মৌলবাদী শক্তি প্রবল হয়ে উঠেছে। কেন? সুবিখ্যাত লেখক ক্যারেন আর্মস্ট্রং এই বিহব্বলকালী ও বিব্রতকর প্রশ্নের জবাব খোঁজার প্রয়াস পেয়েছেন তাঁর অসাধারণ গ্রন্থ স্রষ্টার জন্যে লড়াই ( দ্য ব্যাটল ফর গড)- এ।
যেমনটি সাধারণভাবে মনে করা হয়, মৌলবাদ ধর্মের প্রাচীন ধরনের পুনরাবির্ভাব নয় বরং আধুনিক বিশ্বের আধ্যাত্মিক টানাপোড়েনের প্রতি সাড়া বিশেষ। আর্মস্ট্রং যুক্তি দেখিয়েছেন যে, আলোকনপর্বে কিংবদন্তী ও বিশ্বাসে প্রোথিত ধর্মানুরাগের বিনাশ ঘটায় মানুষ ধার্মিকতার নতুন উপায় সন্ধানে বাধ্য হয়েছে যার ফলে মৌলবাদের আবির্ভাব। এ গ্রন্থে আর্মস্ট্রং তিনটি মৌলবাদী আন্দোলনের উপর আলোকপাত করেছেন: আমেরিকায় প্রটেস্ট্যান্ট মৌলবাদ, ইসলায়েলের ইহুদি মৌলবাদ এবং মিশর ও ইরানের ইসলামি মৌলবাদ-আধুনিকতার আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষে প্রতিট আন্দোলন কীভাবে নিজস্ব কৌশল গড়ে তুলেছে তার অনুসন্ধান করেছেন তিনি।
ইতিহাস, সমাজ-বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক দিকে গভীর উপলব্ধির আলোকে ক্যারেন আর্মস্ট্রং ধর্মী অভিব্যক্তি রচম রূপটির আকর্ষণীয় ও নিবিড় বর্ণনা দিয়েছেন , যে অভিব্যক্তিটি বিশ্বের ইতিহাসের গতি স্থির করে দিচ্ছে।
সূচিপত্র
অনুবাদকের কথা
নতুন ভূমিকা
সূচনা
প্রথম পর্ব : প্রাচীন ও নতুন বিশ্ব
১. ইহুদি : অগ্রপথিক (১৪৯০-১৭০০)
২. মুসলিম রক্ষণশীল চেতনা (১৪৯২-১৭৯৯)
৩. ক্রিশ্চান : সাহসী নতুন জগৎ (১৪৯২-১৮৭০)
৪. ইহুদি ও মুসলিম : আধুনিক হলো (১৭৯০-১৮৭০)
দ্বিতীয় পর্ব : মৌলবাদ
৫. যুদ্ধরেখা (১৮৭০-১৯০০)
৬. মৌল বিষয় (১৯০০-২৫)
৭. প্রতি-সংস্কৃতি (১৯২৫-৬০)
৮. সংগঠন (১৯৬০-৭৪)
৯. আক্রমণ (১৯৭৪-৭৯)
১০. পরাজয়? (১৯৭৯-৯৯)
পরিশিষ্ট
নির্ঘণ্ট
তথ্যসূত্র
কৃতজ্ঞতা স্বীকার