“দ্য প্রফেট মুহাম্মদ” বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে নিয়ে রচিত মনােমুগ্ধকর গ্রন্থ। চমৎকার শৈলী আর সহানুভূতির সাথে লেখা।
ফারগাস ফ্লেমিং, দ্য সাের্ড অ্যান্ড দ্য ক্রসে’র -এর রচয়িতা।
পয়গম্বর মুহাম্মদ (স:) সর্বকালের মানবজাতির নায়ক। জীবদ্দশায় এক নতুন ধর্ম : ইসলাম; একটি নতুন রাষ্ট্র: প্রথম ঐকবদ্ধ আরব; এবং এক নতুন সাহিত্য-ভাষা: কুরানের ধ্রুপদী ভাষা-মুহাম্মদের কাছে আর্চঅ্যাঞ্জেল গ্যাব্রিয়েল কর্তৃক প্রত্যাদিষ্ট আল্লাহর বাণী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তাঁর পরলােকগমনের এক প্রজন্ম পরে তিনি এক নতুন সাম্রাজ্য আর এক নতুন সভ্যতার প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করবেন। ধর্মের উপলব্ধি যেখানে ক্রমেই অত্যাবশ্যক হয়ে উঠছে, এমন এক বিশ্বে বার্নাবি রজারসন-এর এ গ্রন্থটি অসাধারণভাবে এই অসাধারণ মানুষ, নেতা, স্বপ্নদ্রষ্টা এবং পয়গম্বরের ঐতিহাসিক অনুরণন আর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। ষষ্ঠ শতাব্দীর আরব, যেখানে মুহাম্মদ (স:) জন্ম গ্রহণ করেছেন, আপন মানুষ, ক্যারাভান কাফেলা, নিজ শহর মক্কার বাজার এলাকায় তার বেড়ে ওঠা, আল্লাহর পয়গম্বরে পরিণত হওয়ার সেই রাত, মক্কায় শিক্ষা দানের বিপজ্জনক বছরগুলাে আর মদিনা অধিকার করার মক্কার প্রয়াস, যা শেষ পর্যন্ত মুহাম্মদের (স:) মুসলিম বাহিনীর কাছে পরাস্ত মক্কার বৈরী প্রয়াস-এসব কিছুই জীবন্ত করে তুলেছেন তিনি।
‘রজারসনের গ্রন্থ যেন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণের মতাে। পয়গম্বরের দৈনন্দিন ও পারিবারিক জীবনে আনন্দ-অবগাহন করেছেন তিনি ধর্মীয় সযতন বুননের ভেতর দিয়ে। গতিশীল দারুণভাবে পাঠযােগ্য একটি বই।’