“ড্রাগন” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
১৯৪৫ সালের এক কাল রাতে আলাস্কা ছেড়ে আকাশে উড়েছিলাে। একটি বােমারু বিমান, উদ্দেশ্য ছিলাে জাপানের হিরােশিমা এবং। নাগাশাকির পর আরাে একটা শহরে আণবিক বােমা ফেলে দ্বিতীয়। বিশ্বযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহে নতুন মাত্রা যােগ করার। দূর্যোগের মুখে। পড়ে সাগর গর্ভে চিরতরে হারিয়ে যায় বি ২৯ বােমারু বিমানটি। এর বহু বছর পর, আধুনিক যুগের জাপানেই জন্ম নিলাে এক উচ্চাভিলাষী সম্রাট; সেনাবাহিনী নয়, অর্থের জোরে নতুন বিপব ঘটাতে চায় সে নাম হিদেকি সুমা। মন-প্রাণ দিয়ে ঘৃনা করে আমেরিকাকে, টালমাটাল করে দিতে চায় তাদের অর্থনীতি, আণবিক বােমার হুমকিতে কুপােকাত করতে চায় বিশ্বের এই সুপার পাওয়ারকে। জাপানি গাড়ির এক বহরের ভিতরে লুকিয়ে। খােদ আমেরিকার অভ্যন্তরে আণবিক বােমা পাচার করার প্রক্রিয়া। চলতে থাকে গােপনে। ঘটনাবলী নাটকীয় রুপ নেয় যখন সাগরের মাঝখানে জাপানি গাড়ি বহনকারী জাহাজ বিস্ফোরিত হলাে সম্পূর্ণ। অদ্ভুত প্রেক্ষাপটে।
শুরু হলাে ইঁদুর দৌড়, হিদেকি সুমাকে খুঁজে পেতে হবে। আমেরিকার, তবে তার আগে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। গাড়িতে লুকিয়ে পাচার করা আনবিক বােমা ।
সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক ভীতি এবং ইতিহাসের অনুষঙ্গ মিলেমিশে জন্ম দিয়েছে এই যাবৎকালে ক্লাইভ কাসলার রচিত সেরা সাসপেন্স।। আলাস্কার বরফ-ঢাকা ভূখন্ড থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের সপ্নিল ঢেউ। রােমাঞ্চের অফুরন্ত উৎস, কাসলারের জনপ্রিয়তম চরিত্র, ডার্ক পিট। আপনাকে নিয়ে যাবে টান টান উত্তেজনার পরিবেশে।