ফ্ল্যাপে লিখা কথা
একাত্তরের অব্যবহিত পরে জন্ম নেওয়া পিতৃপরিচয়হীন একটি শিশুর প্রতিকূল সমাজবাস্তবতায় মনস্তাত্ত্বিক ঘাতপ্রতিঘাতে বেড়ে ওঠা দিয়ে উপন্যাসের শুরু। যার মা যৌবনে বিরূপ প্রতিবেশের মাছে স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছে উদ্বন্ধানে। তার জন্ম থেকে বড় হয়ে ওঠার পুরো সময়কাল শুধু নিগৃহীত হবার বিবর্ণ ঘটনায় ভরপুর। সে কখনো রুখে দাঁড়াতে, প্রতিরোধ করতে কিংবা প্রতিকার চাইতে শেখে নি। নির্যাতন এবং বঞ্চনাকে সে ললাটলিখনের মতো অমোঘ বলে মেনে নিয়েছে। কিন্তু সহ্যশক্তির পরীক্ষায় শেষপর্যন্ত সে হেরে যায়। বাঁচার রাস্তা খোঁজে । নিজের ভিতর অন্তত নিগৃহীত হবার কারণ কিংবা উত্তর খুঁজতে গিয়ে বুঝতে পারে পিতৃপরিচয়হীন বলেই সে বর্তমান অবস্থার শিকার। পুরো উপন্যাসে তার সমান্তরাল বিন্যস্ত হয়েছে মধ্যযুগের কবি শুকুর মামুদের ‘গুপ্তিচন্দ্রের সন্ন্যাস’ আখ্যানটি। গুপিচন্দ্রের পিতৃপরিচয় জানার আকুলতার সঙ্গে মিশে যায় একাত্তরের যুদ্ধশিশুর আকুলতা ও দীর্ঘশ্বাস।
প্যারালাল টেক্সট-এর প্রকরণে নির্মিত এই উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্য সম্পর্কে পাঠককে নতুনভাবে আশাবাদী করে তুলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।