ফ্ল্যাপে লিখা কথা
অসুখ হলে আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। অথচ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা অসুখ-বিসুখ দূরে রাখতে পারি, সুস্থ থাকতে পারি; সুন্দর হয়ে ওঠে আমাদের জীবন। এই বইয়ের মাধ্যমে নানারকম স্বাস্থ্যবিধি ও অসুখ-বিসুখ সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে হলে শরীরের যত্ন নিতে হবে। একজন চিকিৎসকই দিক নির্দেশনা দেবেন কীভাবে শরীরের যত্ন নিতে হয়। শরীরে নানা অসুখ-বিসুখ ও প্রতিকার নিয়ে লেখা হয়েছে এ বই।
লেখক পরিচিতি
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল জন্ম : ১লা জানুয়ারি খুলনা। বাবা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান এবং মা রাহিলা খাতুন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। এমবিবিএস পাশ করেন ১৯৯৩ সালে। ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল সার্জারি বিভাগে কর্মরত আছেন। তিনি জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে থোরাসিক সার্জারিতে এমএস করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখি করেন প্রচুর । বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন । যদিও লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়েই, কিন্তু বর্তমানে বেশি ব্যস্ত স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখালেখিতে। সায়েন্স ফিকশন এবং ভৌতিকগল্পও লিখছেন প্রচুর। অনুবাদেও সমান দক্ষ। ইতোমধ্যে তার বেশকিছু অনুবাদের বই বেরিয়েছে। প্রথম কবিতার বিই ‘একজন স্বপ্ন পুরুষের কাছে মৃত্যুর অনুবাদ’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলায় প্রথম দীর্ঘ সায়েন্স ফিকশন কবিতা লেখেন তিনি, ‘পৃথিবীর মৃত্যুতে কাঁদেনি কেউ’ শিরোনামের এই সায়েন্স ফিকশন কবিতাটি প্রকাশিত হয় অন্যদিন পত্রিকায়। স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন আনোয়ারা-নূর পুরষ্কার। তাঁর স্বাস্থ্যবিষয়ক বইগুলো ব্যাপকবাবে পাঠকপ্রিয় হয়েছে। রহস্য পত্রিকায় তিনি পাঠকদের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন। উন্মাদ পত্রিকায় তিনি পরিকল্পনা বিভাগে রয়েছেন। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের সাব এডিটর।