সুন্দরী এক পরিকন্যার সাথে জ্যোৎস্নারাতে বরই গাছের নিচে ফতেপুরের লণ্ডনীবাড়ির ছোটছেলে আলাভোলা সিজিল মিয়ার নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ হয় এবং এই কাহিনী দিনে দিনে ডালপালা মেলে দেশ থেকে ছড়িয়ে পড়ে সুদূর লণ্ডনে। সেখানে তার সহদরেরা থাকেন। আর তাদের পূর্বসূরীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর দেশভাগের ডামাডোলের মধ্যে সিলেট থেকে কলকাতায় গিয়ে জাহাজে কয়লা মারার কাজ নিয়ে চলে গেছেন খিদিরপুর থেকে লিভারপুলে। এভাবে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের প্রত্যন্ত এক গ্রামের লণ্ডনীবাড়ির উত্থান-পতনের সাথে স্থানীয় রাজনীতি আর লণ্ডনপ্রবাসী অভিবাসীদের জীবনের দ্বন্দ্ব ইত্যাদির মধ্যে এক আলাভোলা অসহায় প্রতিবন্ধি সিজিল মিয়ার জীবনের সাথে আরেক অসহায় নারীর যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে এক অসাধারণ উপন্যাসের সন্ধান পাঠক পেয়ে যান। আর সেই সাথে উপলব্ধি করেন কতটা শক্তিমত্তা ধারণ করলে একজন লেখক প্রমিত ভাষা আর সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার ভেদ ঘুচিয়ে দেওয়ার মতো প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন।