আরো একটি বিজয় চাই

৳ 235.00

লেখক
প্রকাশক
ভাষা বাংলা
দেশ বাংলাদেশ

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে যেসব সমস্যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করেছে, সেগুলোরই বিচার বিশ্লেষণ আছে এ গ্রন্থে। ড. জাফর ইকবাল সহজ ভাষায় বিচার করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতি ও রাজনীতির নানা সমস্যা।দেশের শিক্ষব্যবস্থা নিয়েও তিনি গভীরভাবে চিন্তা করেছেন এবং প্রচলিত ব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতি নির্দেশ করেছেন। শিক্ষা,সংস্কৃতি ও সমাজের পুনর্গঠন তাঁর কাম্য।

আরো একটি বিজয় চাই তিনি কামনা করেছেন এই জন্য যে, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরে অল্প সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রীয় জীবনের কর্তৃত্বে চলে এসেছে একাত্তরের পরাজিত ও ঘৃণিত শক্তি। ড. জাফর ইকবাল পরাজিত শক্তির এই উত্থানের মোকাবিলা করত চেয়েছেন মূলত সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায়।

লেখকের সাবলীল ভাষা পরিচ্ছন্ন চিন্তা পাঠককে এমনভাবে আকর্ষণ করে যে , পড়তে আরম্ভ করলে একটির পর একটি করে সবগুলো লেখা পড়ে শেষ করতে ইচ্ছে করে। লেখকের সাথে আমারাও বিশ্বাস করি জাতির জন্য আরো একটি বিজয় অবশ্যম্ভাবী।
ফয়সাল আরেফিন দীপন

ভূমিকা
আমার ধারণা আমাদের দেশটি এই মুহূর্তে একটা বড় ধরনের দুঃসময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা দেশের ভিত্তি হিসেবে ধরি দেখা যাচ্ছে তার সবগুলোই একটা একটা করে ধ্বংস করে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেটি এখনো কোনোভাবে টিকে আছে সেটি হচ্ছে সংবাদপত্র-তার ওপর দিয়েও ঝড় ঝাপটা কম যাচ্ছে না। সেই সংবাদপত্রে গত বছরে আমার প্রকাশিত লেখালেখি, প্রবন্ধ এবং কলামগুলো নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে ‘আরো একটি বিজয় চাই’।

লেখাগুলো সংকলিত করতে গিয়ে আমি একটু অবাক হয়ে লক্ষ করেছি অনেকগুলো লেখা শিক্ষা নিয়ে। বেশির ভাগই ক্ষোভ -পরীক্ষার দিনে হরতাল দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ, ছোট শিশুকে শাস্তি দিতে গিয়ে মেরে ফেলা নিয়ে ক্ষোভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হত্যা নিয়ে ক্ষোভ, বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে ক্ষোভ একং সবশেষে ‘একমুখী শিক্ষা’ নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা নিয়ে ক্ষোভ! ক্ষোভের আর শেষ নেই- তবু আমি মনে করি হতাশা থেকে ক্ষোভ ভাল।হতাশা হলে মানুষ হাল ছেড়ে দেয়- বিক্ষুব্ধ মানুষ প্রতিকারের চেষ্টা করে।

আমি নিজে শিক্ষক বলে সম্ভবত অন্য দশটি বিষয়ের মাঝে শিক্ষার বিষয়টাই আমার প্রথমে চোখ পড়ে। আমাদের দেশটাকে নিজের পায়ের উপর দাঁড়া করতে হলে আগে হোক পরে হোক, শিক্ষার বিষয়টাকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়ে নিতে হবে। তাই শিক্ষাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে দেখলে আমার ক্ষোভটা হয় বেশী। যখন পত্রিকায় লেখাগুলো প্রকাশিত হয়েছে তখন পাঠক পাঠিকারা আমর ক্ষোভটুকু অনুভব করেছেন-সেটাই আমার বড় পাওনা।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
বনানী, ঢাকা।

সূচিপত্র
* এটি কিন্তু স্বাভাবিক নয়
* কেন আমরা হতাশ নই
* কিশোরী মুক্তিযোদ্ধা
* বেনানা রিপাবলিক কাহাকে বলে ?
* বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
* তোমাদের কাছে ক্ষমা চাই
* বিজ্ঞান গবেষণা এবং প্রশ্ন
* বিচার ,অবিচার ,সুবিচার
* মাফ করে দিও দীপু
* একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপমৃত্যু
* একটি কাল্পনিক গল্প
* মাগুড়ছড়া, টেংরটিলা এবং এসএসসি সিলেবাস
* এ দেশে জঙ্গি কারা ?
* একমুখী শিক্ষা : জাতির জন্য আশা না আশংকা
* নীলনকশার খেলোয়াড় ও গুটি
* নির্বুদ্ধিতার জন্য একটা পুরস্কার দরকার!
* আরো একটি বিজয় চাই

বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফয়জুর রহমানের চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডি সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবেও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সবসময়ই এ দেশের কিশোর-কিশোরীদের কাছে বিশেষ আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছে। কিশোর সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক অজস্র গ্রন্থ দিয়ে তিনি আলোকিত করে তুলেছেন এদেশের অগণিত কিশোর-কিশোরীর মনোজগত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমূহ, যেমন- দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, আমি তপু, শান্তা পরিবার, দস্যি ক’জন ইত্যাদি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার বেশ কিছু গল্প পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবে টিভি পর্দায় স্থান করে নিয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্টও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডও তাঁর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমগ্র সকল বইপড়ুয়াকেই আকৃষ্ট করে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহুবার পুরষ্কৃত হয়েছেন। বাংলা একাডেমি পুরষ্কার (২০০৪) এবং শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৫) সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক (২০০২), শেলটেক সাহিত্য পদক (২০০৩), ইউরো শিশুসাহিত্য পদকসহ (২০০৪) অগণিত পুরষ্কার অর্জন করেছেন গুণী এই সাহিত্যিক।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ