ফ্ল্যাপে লিখা কথা
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃত, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি এবং বাঙালি জাতির এক অবিসাংবাদিত নেতা। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক , স্বাধীনতার প্রতীক, সাহস ও শৌর্যের প্রতীক।
অসাধারন দেশ প্রেম, আপোসহীন সততা,নমনীয় মনোবল এবং গভীর দূর দৃষ্টি দিয়ে তিনি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েগেছেন।
বাংলার স্বাধীনতা, ভাষা , সমাজ ও সংস্কৃতির মধ্যে তিনি চিরকালের জন্য চির জাগ্রত। বঙ্গবন্ধু ছিলেন,আছেন এবং থাকবেন অনন্তকাল এই বাংলায়। অমর, অবিনশ্বর শেখ মুজিব। চিরঞ্জীব শেখ মুজিব।
ভূমিকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃত এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেথ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির এক অবিসাংবাদিত নেতা।তিনি বাঙালি জাতির অধিকার এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রাখেন। ১৯৫২ -এর ভাষা আন্দোলন, , ৫৮ সামরিক শাস বিরোধী আনেআদলন, ‘ ৬২ এ শিক্ষা সাংস্কৃতিক আন্দোলন, ‘৬৬ এর ছয় দফা, ‘৬৯ এর গণঅভুস্থাত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন সহ সাধারন মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি এই জাতিকে নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বার বার কারারণসহ অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। সকল প্রকার অত্যাচার ,শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সাহস ও বাগ্নিতা এবং বলিষ্ট নেতৃত্বে এদেশের সাধারণ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রানিত করে ।
তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতা। এদেশের স্বাধীনতা ও জনগনের অধিকার আগায়ের জন্য বঙ্গবন্ধুকে যে পরিমান ত্যাগ, দুঃখ-কষ্ট ও অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে, বিশ্বের আর কোন জাতির জনককে তেমনি করতে হয়েছে বলে আমাদের জানা নে্ই। এ কথা কারও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ আজ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য। আক্ষরিক অর্থেই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক । যেন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।
বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা ও জাতিসত্তার প্রতীক। বাঙালি জাতির পরম সৌভাগ্যে যে, তাঁর মতো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতীয়তাবাদী ত্যাগী নেতার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব পেয়েছিল, যা কোন জাতির ভাগ্যে যুগে যুগে কে ন শতাব্দীতেও আসে না। বঙ্গবন্ধুর মতো আদর্শ নেতৃত্ব পেয়ে যে কোন জাতি গর্ব করতে পারে এবং বদলে দিতি পারে তার ভাগ্য। কিন্তু বাঙালি জাতির চরম দুর্ভাগ্য , যুদ্ধবিধ্বস্ত নব্য স্বাধীন একটি দেশ শত প্রতিকূলতা কাটিয়ে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন সকল জাতিয় শক্তিকে একত্রিত করে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই আমাদের অসতর্কতা ও অনৈক্যের সুযোগে ‘৭১ এর পরাজিত শক্তি ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালোরাত্রিতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ইতিহাসের বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডে দেশ ও জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরনীয়।
ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যুতে ঘটাতে পারেনি।চৌদ্দ কোটি বাঙালির অন্তরে লালিত হচ্ছে তাঁর ত্যাগ ও তিতিক্ষার সংগ্রামী জীবনাদর্শ।
বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান চির দিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
কবীর চৌধুরী
১জানুয়ারী,২০১০
সূচি
* অধ্যাপক কবীর চৌধরী——মুজিব মানে মুক্তি
* অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী——বঙ্গবন্ধু : মৃত্যুদিনের ভাবনা
* অধ্যাপক ড. অনুপম সেন——বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম
* অধ্যাপক অমলেন্দু দে ———-বঙ্গবন্ধু
* অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান———বঙ্গবন্ধুকে অবলোকন
* অধ্যাপক ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর———রাষ্ট্রগঠন ও জাতির জনক শেখ মুজিব
* আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক——– সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ
* আন মাহমুদ————–যিনি না হলে বাংলাদেশ হতো না
*আবদুল গাফফার চৌধুরী———জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
* আবুল মাল আবদুল মুহিত———-বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব
* আবেদ খান————– শেখ মুজিবই বাংলাদেশের ঠিকানা
*আলম তালুকদার ————- একজন মুক্তিযোদ্ধার দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু
*ইউসুফ শরীফ———বঙ্গবন্ধু আমাদের শক্তি ও চেতনা
* কফিল উদ্দিন মাহমুদ——–নির্ভীক ,উদার ও বিরল এক ব্যক্তিত্ব
* কর্ণেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান———বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই
* কামাল লোহানী———লীডার
* কে. জি মুস্তাফা———- জীবনসংগ্রামী বঙ্গবন্ধু
* জুলফিকার নিউটন———স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু
* ড. আতিউর রহমান——— কিংবদন্তির মহানায়ক
* ড. আলাউদ্দিন আহমদ———অবিসাংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু
* ড. দুর্গাদাস ভট্রাচার্য———-বঙ্গবন্ধু, মানবাদিকার ও বাংলাদেশ
* ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর———-বঙ্গবন্ধুর কথা
* ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী————- শেখ মুজিবের অঙ্গীকার
* ডা. এস , এ মালেক——- কেন বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন
* তোয়াব খান————- বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
* ফখরুদ্দিন আহমেদ———– ১৫ আগস্ট স্ট্যাডেজি ও তাণ্ডব এবং তার পর
* ফারুক চৌধুরী———– বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির সাফল্য
* বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেন———– বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধু
* বিচারপতি কে এম সোবাহান————–সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
* বেবী মওদুদ——–১৫ আগস্ট, ১৯৭৫
* মুনতাসীর মামুন——— বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ
* মুস্তফা নূর উল আলম———ততো দিন রবে কীর্তি তোমার
*মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, ————সংগ্রামী এক জীবনগাঁথা
* রফিকুজ্জামান হুমায়ুন————চিরঞ্জীব শেখ মুজিব
* রাহাত খান——- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মরণে
*শামসুজ্জামান খান————–জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ: একটি অনুপুঙ্খ পাঠ
* শাহরিয়ার ইকবাল———বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: কাছে থেকে দেখা
* শাহরিয়ার কবির————বঙ্গবন্ধু ও বাংলদেশ
*শেখ হাসিনা–শেখ মুজিব আমার পিতা
*সুফিয়া কামাল ——–আমার দেখা মুজিব
*সেলিনা হোসেন——– মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব
* সৈয়দ হাসান ইমাম———-আমার বঙ্গবন্ধু