সূচিপত্র
* মো জুবান ডি আরু
* No more Hirishima
* কিয়োটা, যেখানে প্রেথিত জাপানের শিকড়
* মিয়াজিমা দ্বীপ, নগর শোভিত এক অভয়ারণ্য
* প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে
* হটস্প্রিং বাথ
* টোয়েমায় নোগামী পরিবারে হোমষ্টে এবং অনেক পাওয়ার ও দেখার স্মৃতি
* বরয়ের চাদরে মোড়ানো টাটেয়ামা মাউন্টেইন ভ্রমণ
* পর্বতের কোলে রাতের স্পোর্টস সেন্টারের অনন্য অভিজ্ঞতা
* নোগামী পরিবারের মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে টয়োমা হতে বিদায়ের পালা
* টোকিও ডিজনীল্যান্ড, এক পরিবারিক বিনোদন সাম্রাজ্য
* টোকিও তে মিলন মেলা এবং জাপানের ন্যাশনাল ডায়েট দর্শন
* বিদায় বেলায় জাপানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে আমরা ক’জন বাংলাদেশী
ভূমিকা
জাপান আমার প্রথম বিদেশ সফরের দেশ। জাপান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ‘Youth Friendship Programme For the Twenty First Century’ তে অংশ নিতে বাংলাদেশ হতে বেশ ক’জন সিভিল অফিসার ১৯৯২ তে গিয়েছিলাম জাপানে। একেতো প্রথম বিদেশ ভ্রমণ, তার উপর জাপানের মত উন্নত দেশের এক বিশাল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। এশিয়ার অধিকাংশ দেশের প্রতিনিধি এবং পাঁচ শতাধিক জাপানী অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে এক সুবিশাল কর্মযজ্ঞ। বর্ণাঢ্য আয়োজন। আমার ভাল লেগেছিল ভীষণ! এরপর বহুদেশ আমি ঘুরেছি কিন্তু জাপানের সেইসব দিনগুলির স্মৃতি ভুলতে পারিনি এখনও।
ভ্রমণ কাহিনী লিখতে আমি অভ্যেস্ত ছিলাম না কখনো। অভিজ্ঞতার ঝুলিও সমৃদ্ধ আমাকে লিখতে হয়েছে। মাস্ওয়াথ্ এখন জার্মান প্রবাসী। ডয়েচে ভ্যালীতে বাংলা বিভাগীয় সম্পাদক। সময়টা ১৯৯৮-২০০০ । আমরা একই কর্মস্থলে ছিলাম। মাস্কাওয়াথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হুমায়ূন রেজা তখন দৈনিক ভোরের কাগজে নিয়মিত সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘অবসর’ এর সম্পাদনায় নিয়োজিত। এই দুই অনুজপ্রতিমের উৎসাহ-অনুপ্রেরণায় পাঠকের কাছে পৌঁছিয়েছিল আমার আমার জাপান ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলো। সে সময় অসংখ্য পাঠকও উদারভাবে উৎসাহিত করেছিলেন আমাকে। মাঝে বছর পাঁচেক দেশে ছিলাম না। ফিরে আসার পর আমার আরেক পরশ স্নেহভাজন দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক সাগর সরওয়ার আমার ভ্রমণ কাহিনীগুলো বই আকারে প্রকাশ করার জন্য দিতে থাকলো অব্যাহত তাগিদ। সঙ্গে যুক্ত হলেন বিজয় প্রকাশের প্রকাশক তপন মাহমুদ। দু’জনের অশেষ উৎসাহ অনুপ্রেরণা সত্বেও পাণ্ডুলিপি তুলে দিতে বিলম্ব ঘটল অনেক। মাঝে দাপ্তরিক কাজে আমেরিকায় বেশ কিছু সময় কাটিয়ে এসে দেখি একুশের বইমেলা দরজায় কড়া নাড়ছে। যাহোক, প্রকাশকের সীমাহীন প্রয়াসে তবুও আলোর মুখ দেখতে আমার ‘যেমন দেখেছি জাপান’। আয়তনে জাপান বাংলাদেশের আয়তনের কাছাকাছি একটি দেশ। কিন্তু সুবিশাল এর ভিতরের জগৎ। সে জগতের ব্যাপ্তি এর ইতিহাস -ঐতিহ্য-কৃষ্টি-মনোরম প্রকৃতি হতে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। সে বিশালত্বকে ধঅরণ করার ক্ষমতা আমার ছিল না। আমার ভ্রমণ কালীন সময়ে আমি কতটুকুই বা দেখেছি জাপানের, জেনেছি বা ওরকতটুকু! আমার অদেখা ও অজানা বিষয়গুলো সম্পর্কে পাঠককে বঞ্চিত করার জন্য দুঃখিত।