এই বইটার নাম নেই

৳ 150.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849123132
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৮৮
সংস্কার 1st Published, 2012
দেশ বাংলাদেশ

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
দুম করে আমি যদি হয়ে যাই গুম
প্লিজ কেউ কাটিও না রাত নির্ঘুম।
তারচেয়ে ভোরে পড়ো জাতীয় আবেগে
যেই ছড়া লিখিয়াছি আমি রাত জেগে।

ভূমিকা
‘এই বইটার নাম নেই’-এর ‘এই বইটার ভূমিকা নেই’ হলে খুব ভালো হত। সবচেয়ে ভালো হতো ‘এই বইটা নেই’ হলে!

সত্যি বলতে এই বইটা এক রকম চাপে পড়েই প্রস্তুত করেছি। গল্পটা মজার। কিছুদিন আগে এক দুপুরে হঠাৎ আমার অতি-অতি প্রিয় শিল্পী ধ্রুব এষের ফোন পেলাম- ‘অনিক তোমার জন্য একটা প্রচ্ছদ করেছি, এসে নিয়ে যাও’।

আমি উনাকে বললাম -“ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!” কিন্তু মনে মনে বললাম ‘সর্বনাশ! সর্বনাশ!” ঘটনা হচ্ছে বেশ কিছুদিন আগে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে শিল্পী ধ্রুব এষের সাথে দেখা হয়েছিল। ২০১২ সালে নতুন বই করব না এই সিদ্ধান্ত ততদেন আমি নিয়ে ফেলেছি এবং উনার মত বড় মাপের শিল্পী আমার জন্য প্রচ্ছদ আঁকার সময় পাবেন না এটাই নিশ্চিত ছিলাম। তাই আড্ডার ফাঁকে খেলাচ্ছলেই বলে ফেলেছিলামস – “ধ্রুব ভাই, এবার যদি আপনি আমার প্র্রচ্ছদ না করে দেন তবে বইই করব না!“ তিনি জানতে চাইলেন বইয়ের নাম কি? আমি বললাম বইয়ের নাম নাই।

তারপরেই মেলার ঠিক আগে আগে এই ফোন। এখন এত বড় একজন শিল্পী প্রচ্ছদ করেছেন সেটা না ছাপলে কেমন হয়? আর ভেতরের বই ছাড়া শুধু প্রচ্ছদ ছাপিয়ে মেলায় নিয়ে আসাটাও ভালো দেখাবে না! তা্ই ভীষণ তাড়াহুড়ো করে এই বই। আমি শুধু মাত্র বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলো নিয়েই বই করি। এর বাইরে নয়। আর ব্যাক্তিগত জীবনে খুব অলস বলেই নিজের লেখাগুলো সংগ্রহ করা হয়নি ঠিক মত। সে কারণেই সব ছড়ার সাথে কোনটা কবে কোথায় ছাপা হয়েছে তা অন্য বইগুলোর মত এটাতে উল্লেখ কররে পারলাম না। বিগত বছরের অগ্রন্থিত সবগুলো লেখাও খুঁজে পাইনি। এই বইটি তাই আমার হিসেবে অসম্পূর্ণ। আমার পুরানো লেখাগুলো খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আমাকে কৃতজ্ঞ করেছেন প্রথম আলোর রস আলো সম্পাদক সিমু নাসের, দৈনিক যুগান্তরের বিচ্ছু সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, দৈনিক সকালের খবরের ডিজাইনার মাহাবুব এলাহী রাক্কা। বন্ধু প্রকাশক মাসফিকউল্লাহ্ তন্ময় কৃতজ্ঞ করেছে এই বইটি প্রকাশের আগ্রহ দেখিয়ে ও আমাকে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করতে বাধ্য করে।

আর প্রিয় পাঠক, আপনি যদি এই বইটি কিনে থাকেন, তবে আপনার কাছেও আমি কৃতজ্ঞ । তবে প্রকাশক বেজার হতে পারেন হোক!
অনিক কান
তবুও কার্যালয়, নিউ ডিওএইচএস
ঢাকা, বাংলাদেশ।

অনিক খান, ছড়াকার; নির্বাহী সম্পাদক-মাসিক উন্মাদ পত্রিকা; পরিকল্পনা প্রধান-`তবুও’। জন্ম সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখ ঢাকায় ১৯৮২ সালে। পাসপোর্ট অনুযায়ী সাল - ১৯৮৪। Shanto Mariam University of creative technology: বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়াতে অনার্স করেছেন। অস্ট্রেলিয়াতে কমিউনিকেশন ডিজাইনে নিয়েছেন এডভান্সড ট্রেনিং। বাবা নজরুল ইসলাম খান ও মা অলিফা আখতার, দুজনেই কর্মজীবি। ডাঃ নাদিয়া ফেরদৌস শুচি ও ডাঃ নাজলী ফেরদৌস কচি; দুই বোনের একমাত্র ভাই অনিক খান। লেখালেখির শুরু স্কুল ম্যাগাজিন থেকেই। অনিক খান কার্টুন আঁকতে পারেন না। তিনি উন্মাদের একজন আইডিয়াবাজ বা ‘কার্টুন লেখক’ হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। ছড়া লিখেছেন দেশের প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিক ও সাময়ীকিতে। তার প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৮ বছর বয়সে, ২০০০ সালে ‘ভালোবাসার কয়েকলাইন’ শিরোনামে। বর্তমানে অনিক খান একটি নতুন ধারণাকে, যাকে ইংরেজীতে ‘নিউ মিডিয়া’ বলা হয়, পুঁজি করে ‘তবুও’[২] নামের একটি ‘অমূল্য’ পত্রিকা বাজারে এনেছেন। লেখালেখির পাশাপাশি নভেম্বর ২০০৮ থেকে কনসালটেন্ট প্রডিউসার, কনসালটেন্ট প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ও আরজে হিসাবে কাজ করেছেনে রেডিও ফুর্তিতে।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ