ফ্ল্যাপে লিখা কথা
কাল পুরুষ কবলিত শিশির বিন্দুকে রতন বাবু বলে, ‘আমার চোখে দিকে তাকাও শিশির ।’
ভরা চোখে শিশির তাকায়।
‘কী দেখা যায়?
‘কী?”
‘দ্যাখোনা তুমি মণি হয়ে আমার চোখের ভেতর ঢুকে গেছ। তুমি আমার মনি মুক্তা। আমার রত্ন।’ শিশির বিন্দু কাঙালের মতো চেয়ে থাকে।কী গভীর দুটো চোখ! অববাহিকা ভাসিয়ে দেওয়া প্রেমের জোয়ার দেখতে পায় রতন।
শিশির বিড়বিড় করে বলে, ‘যদিধং হৃদয়ং তব, তদস্থং হৃদয়ং মম।’ রতনের সব কিছু কেঁপে ওঠে।
সে বলে ,অর্থ জানো?
‘জানি।’
‘মানো?’
‘মানি’।
সেই শিশির বিন্দু বাসর ঘর থেকে পালাবে?
তালেব মাস্টা ভেবে মরে।
টকটকে লাল পর্দা সরিয়ে শিশিরের ঘরে প্রবেশ করে তালেব।
শিশির বলে, ‘দেখেন স্যার বিছানার চাদরটা দেখেন।’ ঝুঁকে এসে সে ঘাড় দেখায়, গলা দেখায়।
‘দেখেন কী রকম চিরে দিয়েছে। ছিঁড়ে দিয়েছে।’ কিছুক্ষণ থেমে শিশির আবার বলে, ‘ সব পুরুষকে আমি চিনি। ওরা আসরে জন্তু। জংলি।
তীর ধনুক তাক করে তক্কে তক্কে থাকে।’ তালেবের অস্তিত্ব টলমল করে ওঠে। যেন চার পায়ে লেজ নাড়িয়ে চলে যায় সে।