বেলাল মােহাম্মদ জন্ম ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ সন্দ্বীপে। প্রয়াত মাহমুদা খানম ও মােহাম্মদ ইয়াকুবের দশ সন্তানের মধ্যে পঞ্চম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আই-এ ২য় বর্ষ পর্যন্ত । ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৩ লাগাতার ৯ বছর মিরেরশরাই-এর আমানটোলা খানকা শরিফে সূফি আবদুল লতিফের সান্নিধ্যে অবস্থান। ১৯৬৪ সালে রেজিও পাকিস্তান চট্টগ্রাম কেন্দ্রে স্ক্রিপ্ট রাইটার পদে চুক্তিবদ্ধ। ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ কালুরঘাট প্রচার ভবনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের উদ্যোক্তা-সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শব্দসৈনিক। ১ জুন ১৯৭১-এ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বেতারের সহকারি পরিচালক পদে নিযুক্তিপ্রাপ্ত (মুজিবনগর কর্মচারি)। সরকারি চাকরির মেয়াদ শেষে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান পরিচালনা বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে অবসর গ্রহণ । পড়াশােনা, লেখালেখি ও দেশবিদেশ ভ্রমণই স্বতঃস্ফূর্ত শখ ।। বেলাল মােহাম্মদ ১৯৭৫ সাল থেকে মৃতদার। একমাত্র সন্তান তরুন লেখক জেড কে আনন্দও ১৯৯৮ সালে অকাল প্রয়াত । আনন্দ’র প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত উপন্যাস-গল্পপ্রবন্ধ-কবিতা একযােগে সম্পূর্ণ আনন্দ ভূমিকা প্রকাশন কর্তৃক একুশে বইমেলা ২০১২-এ প্রকাশিত হয়। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১০; বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০১১; সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহুল পুরস্কার; সংবর্ধিত ও সম্মাননাপ্রাপ্ত । প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখযােগ্য- কবিতা নয় (১৯৫৪), পর্যায়ক্রম নেই (১৯৬৯), অকাল অপাত্র (১৯৭৭), নির্বাচিত কবিতা (২০০১), স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র (১৯৮৩), ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার (২০০১), আমার প্রতিবাদের ভাষা (২০০৪), আর এক মুক্তিযুদ্ধ (১৯৮৬), জয় বাংলা রেডিও (১৯৯৬), বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ (২০০১), আমাদের বিশেষ দিনগুলাে (২০০১), বীরশ্রেষ্ঠদের কথা (২০০১), অন্যকূলে পলিমাটি (২০০৯), উপনয়ন (২০০৯), চিত্ররূপা (২০০৯)।
লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →