পদ্মার পলিদ্বীপ

৳ 400.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9847020196
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২২৪
সংস্কার 2022
দেশ বাংলাদেশ

“পদ্মার পলিদ্বীপ” বইয়ের ভিতরের লেখা:
…একখানা উচ্চাঙ্গের উপন্যাস। ইহার অনেক জায়গা একাধিকবার পড়িয়াছি। বিষয়বস্তুর অভিনবত্ব ছাড়িয়াই দিলাম।…এত ব্যাপক বিস্তৃত, জটিল অথচ সুসংহত এবং স্বচ্ছন্দ কাহিনী কমই পড়িয়াছি।…এই উপন্যাসে নানা কাহিনীর সুষম সমাবেশ হইয়াছে, পদ্মার বিধ্বংসী লীলার যথাযথ বর্ণনা আছে,…। ইতিহাস মানুষের কাহিনী বলে, যে কাহিনী ঘটিয়া গিয়া স্তব্ধ হইয়া গিয়াছে। সাহিত্য জীবন্ত, তাহার প্রধান গুণ ঊর্ধ্বমুখী অভীপ্সা এবং তাহার প্রাণ আইডিয়া। চরের প্রজারা জমিদার ও তাহার সাঙ্গোপাঙ্গোদের দ্বারা অপমানিত হয়। হেকমত সমস্ত জীবন মহাজনের ঋণ শােধ করিতেই চুরি করিয়া বেড়ায়। ফজল ছেলেমানুষ, কিন্তু জমিদারের নায়েব যে তাহার পিতাকে যথেষ্ট মর্যাদা দেয় নাই তাহার যথাযােগ্য প্রত্যুত্তর সে দিয়াছে। রূপজান কিছুতেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে পীরসাহেবের বিবি হইতে চায় নাই। জরিনা ধর্মভীরু। কিন্তু যে শাস্ত্র তাহার হৃদয়ের অন্তরতম সত্যকে উপলব্ধি করে নাই তাহাকে সে মানে নাই আর আদর্শবাদী বিপ্লবী এই উপন্যাসকে নূতন আলােকে উদ্ভাসিত করিয়াছে।

আবু ইসহাক শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন শিবঙ্গল গ্রামে ১৩৩৩ সালের ১৫ই কার্তিক (১লা নভেম্বর, ১৯২৬) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪২ সালে স্কলারশিপ নিয়ে ম্যাট্রিক এবং ১৯৪৪ সালে আই. এ পাশ করেন । এর ষোল বছর পর ১৯৬০ সালে করাচি (বর্তমান পাকিস্তান) থেকে বি.এ. পাশ করেন। দেশে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে এবং বিদেশে কূটনৈতিক পদে তিনি কর্মরত ছিলেন। দেশের বাইরে আকিয়াব ও কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাইস-কনসাল ও ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাহিত্যে বিশেষ কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি ১৯৬২-৬৩ সালে তাঁকে সাহিত্য-পুরস্কারে সম্মানিত করে। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে ১৯৮১ সালে তিনি সুন্দরবন সাহিত্য পদক ও ১৯৯৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন। তিনি ২০০৪ সালে মরণত্তোর রাষ্ট্রৃ প্রদত্ত স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। আবু ইসহাক বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল প্রতিভা। তাঁর রচিত উপন্যস ‘সূর্য-দীঘল বাড়ি’ একটি স্মরণীয় সাহিত্যকীর্তি।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ