ফ্ল্যাপে লিখা কথা
‘আমার পাঁচমিশেলি মন খারাপের পরেও রে তোর সঙ্গে আছি’ – লাইনগুলো শুনে চমকে উঠেছিলেন শমীক।শহর থেকে অনেক দূরে শান্তি নদীর ধারের গ্রাম মনকাড়ায় এমন কথা শুনতে পাবেন ভাবেননি। আরও অবাক হলেন শুনে যে সেই কবিতা লিখেছেন গ্রামের মেয়ে শবনম। যে কিনা চা-বিক্রি করে চালায় সংসার। শমীকের কথায় শহরে আসে শবনম। একটা চাকরিও পায় সাহিত্যপ্রেমী মানুষ সামসুদ্দিন সাহেবের সহায়তায়। তার সামনে খুলে যায় এক আলো ঝলমল রূপকথার জগৎ। তার সঙ্গে চোখে পড়ে শহরে জীবনে পাঁচমিশেলি মন খারাপ-এর মতো অনেক ঘটনা। তবু মন্দ লাগে না তার। সে চায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে। গ্রাম ছেড়ে এলেও গ্রামের মানুষকে ভোলেনি শবনম। আর তাই গ্রামের বাউল মিন্টু ভাইয়ের চিকিৎসায় সে ঝাঁপিয়ে পড়ে সর্বশক্তি নিয়ে। অন্তরাল থেকে সাহার্য্য করেন সাহিত্যক শমীক। কিন্তু কেন? শবনমের না হয় নাড়ির টান তার গ্রাম মনকাড়ার সঙ্গে। আর পুরোপুরি নগরজীবনে অভ্যস্ত মধ্যবয়সী শমীকের? তাঁর টান কীসে? তাঁরও তো কিছু বলার থাকতে পারে। কী সে কথা…. ওপার বাংলার পটভূমিতে এক অনবদ্য উপন্যাস।